নিজস্ব প্রতিবেদন : এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান পরিষেবা নিয়ে যখন বিভিন্ন অভিযোগ উঠছিল ঠিক সেই সময় পুনরায় এয়ার ইন্ডিয়া (Air India) টাটা গোষ্ঠীর (Tata Group) ঘরে ফেরে। ৬৯ বছর পর টাটা গোষ্ঠী ফের এয়ার ইন্ডিয়া চালানোর দায়িত্ব পায়। টাটা গোষ্ঠী পুনরায় এয়ার ইন্ডিয়ার দায়িত্ব পাওয়ার পর পরিষেবাকে সাজিয়ে তুলতে একের পর এক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে শুরু করে। তবে এখনো পর্যন্ত এয়ার ইন্ডিয়া যে অভিযোগহীন পরিষেবা দিতে পেরেছে তা নয়।
টাটাদের এয়ার ইন্ডিয়া নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। আর এই মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্যেই এবার টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে তাদের এয়ার ইন্ডিয়ার যাত্রীদের একটি সুযোগ দেওয়া হল। যে সুযোগের অংশ হিসাবে উড়ানের টাকা পুরোপুরি ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি পরবর্তী উড়ানের জন্য যাত্রীদের ভাউচার দেওয়া হয়। যদিও এই সুযোগ (Tata Air India Offer) টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে এমনি এমনি দেওয়া হয়নি।
টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে এই অফার মূলত ক্ষতিপূরণ হিসাবে দেওয়া হয়েছে। গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে মাত্রাতিরিক্ত দেরি করার কারণেই সংস্থার তরফ থেকে এমন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়। এয়ার ইন্ডিয়ার একটি বিমান গত ১৮ জুলাই নতুন দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিস্কো যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তবে ওই বিমানটি গন্তব্যে পৌঁছাতে ৩০ ঘন্টা দেরি করে। ৩০ ঘণ্টা দেরি মানে বোঝাই যায় কতটা দেরি। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করা হয়।
গন্তব্যে পৌঁছাতে ৩০ ঘন্টা দেরি করার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতিপূরণ হিসাবে যাত্রীদের পুরো ভাড়া ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর পাশাপাশি যাত্রীদের পরবর্তী বিমান সফরের জন্য ভাউচার ঘোষণা করা হয়। এই সকল ঘোষণার পাশাপাশি সংস্থার তরফ থেকে যাত্রীদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়। ক্ষমা চেয়ে নেওয়ার পাশাপাশি জানানো হয়, ‘সফরের এমন তিক্ত অভিজ্ঞতা যাত্রীদের মন থেকে মুছে যাওয়ার নয়। তবে সমস্যার জন্য আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, পুরো ভাড়া ফেরত দেওয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যতে সফরের জন্য একটি ভাউচার দেওয়ার।’
১৮ জুলাই ঠিক কি ঘটেছিল? জানা গিয়েছে ওই দিন নয়া দিল্লি থেকে সান ফ্রান্সিসকোর উদ্দেশ্যে এয়ার ইন্ডিয়ার AI-183 বিমানটি রওনা দিলেও মাঝে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। যে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে বিমানটিকে রাশিয়ায় জরুরি অবতরণ করতে হয়। পরে ওই বিমানটি AI-1179 বিমানে আপডেট করা হয় এবং তারপর যাত্রীদের গন্তব্যে পৌঁছানো হয়। আর এই সমস্ত কিছু করতে গিয়ে ৩০ ঘন্টা লেটে গন্তব্যে পৌঁছান যাত্রীরা। তবে এত দেরি হওয়ার ক্ষেত্রে যাত্রীদের যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য সংস্থা সমস্ত রকম খেয়াল রেখেছে বলেই দাবি করছে।