নিজস্ব প্রতিবেদন : গতবছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে তৃণমূলের একুশের জুলাই মঞ্চে নজর কেড়েছিলেন রাজন্যা হালদার। রাজ্যের কম বয়সী নেত্রীদের মধ্যে ধর্মতলার শহীদ স্মরণ মঞ্চে তিনি জায়গা করে নিয়েছিলেন বক্তব্য রাখার জন্য। প্রথমবার ওই মঞ্চে উঠেই তার ক্ষুরধার বক্তব্য সবার নজর কেড়েছিল। ঠিক একইভাবে এবার একুশের শহীদ মঞ্চে নজর কাড়লেন রাজ্যের সবচেয়ে কনিষ্ঠ বিধায়ক মধুপর্না ঠাকুর (Madhuparna Thakur)।
বাগদা বিধানসভা এলাকায় সদ্য সমাপ্ত হওয়া উপ নির্বাচনে তাকে শাসক দল তৃণমূল বেছে নিয়েছিল প্রার্থী হিসেবে। রাজনৈতিক পরিবারের একজন সদস্য হিসাবে ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে নিজের যোগ্যতা অর্জন করেছেন। তিনি এখন রাজ্যের সবচেয়ে কনিষ্ঠ বিধায়ক হয়ে উঠেছেন। এমন একজন বিধায়ককে নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে রয়েছে অজস্র কৌতুহল।
মধুপর্না ঠাকুরের এখন বয়স মাত্র ২৫ বছর আর এই ২৫ বছর বয়সেই তিনি বিধানসভায় শপথ গ্রহণ করবেন মঙ্গলবার। শপথ গ্রহণের আগে রবিবার ধর্মতলায় একুশের শহীদ মঞ্চে তার ক্ষুরধার বক্তব্য সবার নজর কাড়ে। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের বাসিন্দাদের মধ্যে রাজ্যের কনিষ্ঠ বিধায়ককে নিয়ে প্রশ্ন তার শিক্ষাগত যোগ্যতা কতটা? এছাড়াও তার কত টাকার সম্পত্তি রয়েছে, তাও কৌতূহলের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সদ্য সমাপ্ত হওয়া বিধানসভা উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সময় তিনি যে হলফনামা জমা দিয়েছিলেন তা থেকে জানা গিয়েছে, তার কাছে মোট অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার ৩ টাকা। এর মধ্যে ভোটের সময় নগদ ছিল ১০ হাজার টাকা এবং ঠাকুরনগরের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ায় তার একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট রয়েছে, যাতে থাকা টাকার পরিমাণ হল ৬ হাজার ৩ টাকা। মধুপর্না ঠাকুরের নামে না আছে কোন গাড়ি, না আছে কোন টু হুইলার, না আছে কোন ফিক্সড ডিপোজিট অথবা অন্য কোন খাতে সঞ্চয়। তবে তার নামে বিপুল পরিমাণ সোনার অলংকার রয়েছে, যারই বাজার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। তার কাছে থাকা সোনার অলংকারের পরিমাণ ৮৯.৫৩ গ্রাম।
আরও পড়ুন ? WBSEDCL Alert: বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার মেসেজ এসেছে? সত্যি না মিথ্যা জানবেন কিভাবে?
অস্থাবর সম্পত্তি ছাড়াও তার নামে বেশ কিছু স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে। বেশ কিছু পরিমাণ চাষযোগ্য জমি রয়েছে তার নামে এবং যার বর্তমান বাজার মূল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। অচাষযোগ্য জমিয় রয়েছে তার নামে, যার মূল্য আনুমানিক ১০ লক্ষ টাকা। পাশাপাশি দুটি বসতবাড়ি রয়েছে তার। তবে সেগুলি পুরোটাই তার নামে নয়। যেগুলির তিনি যা ভাগ পান তার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ লক্ষ ৫১ হাজার ৭১০ টাকা এবং ৮ লক্ষ টাকা। সব মিলিয়ে তার মোট স্থাবর সম্পত্তির পরিমাণ ৩২ লক্ষ ৬২ হাজার ৮১০ টাকা।
২৫ বছর বয়সি রাজ্যের কনিষ্ঠ বিধায়ক হিসাবে মধুপর্না ঠাকুরের সব মিলিয়ে মোট প্রায় ৩৯ লক্ষ টাকার সম্পত্তির পাশাপাশি তিনি এখনো একজন পড়ুয়া বলেই নিজেকে দাবি করেছেন। পড়ুয়ার পাশাপাশি তিনি সামাজিক ও ধর্মীয় কাজ কর্ম করে থাকেন বলেও হলফনামায় জানিয়েছেন। তিনি তার শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসাবে জিওলজিতে স্নাতক বলেই উল্লেখ করেছেন হলফনামায়।