The increasing population of these 5 states in India has become a cause for concern: কোন কিছুই অতিরিক্ত ভালো নয়। বংশবিস্তার অত্যন্ত খুশির ১ টি খবর। কিন্তু সেটি যখন অতিরিক্ত মাত্রায় হতে শুরু করে তখন তা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। একসময় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার অধিকারী ছিল চীন। কিন্তু সেসব এখন অতীত। বেশ কয়েক বছর আগেই জনসংখ্যার নিরিখে চীনকে ছাপিয়ে এগিয়ে গেছে ভারত। বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল (Population in India) দেশ হিসেবে নাম রয়েছে ভারতবর্ষের। ভারতীয় সংবিধানে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ মূলক কোন আইন নেই। যদি থেকেও থাকে তাহলে বাস্তবে তার তেমন কোন ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় না। লাগাম ছাড়া জনসংখ্যা প্রতিরোধে এখনো পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, দেশের ৩১টি রাজ্য নিজেদের মতো করে নিজেদের রাজ্যে বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে কিছুটা হলেও সফলতা পেয়েছে। কিন্তু দেশের জনসংখ্যার (Population in India) বিচারে ৫টি রাজ্য এ ব্যাপারে একেবারেই লাগাম ছাড়া, বেপরোয়া। জন্ম নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ তো দেখা যাচ্ছেই না উল্টে প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে প্রজনন হার। কিন্তু খুব শীঘ্রই যদি এই রাজ্যগুলিতে জন্মনিয়ন্ত্রণ প্রতিরোধ করা সম্ভব না হয়, তাহলে দেশের জন্য তা অবশ্যই চিন্তার বিষয়। এ কথা স্বীকার করেছেন স্বয়ং জেপি নাড্ডা।
জন্মনিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিষয় যে ৫টি রাজ্যকে নিয়ে চিন্তিত শাস্ত্র মন্ত্রক, সেই তালিকায় সবার উপরেই নাম রয়েছে বিহারের। বিহারের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বর্তমানে ৩ শতাংশ। এরপর দ্বিতীয় স্থানে নাম রয়েছে মেঘালয়ের। সেখানকার প্রজনন হারও প্রায় ২.৯ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে নাম রয়েছে উত্তরপ্রদেশের। সেখানকার প্রজনন হার ২.৪ শতাংশ। চার নম্বরে নাম রয়েছে ঝাড়খণ্ডের। এই রাজ্যের প্রজনন হার ২.৩ শতাংশ। এবং ৫ নম্বরে নাম রয়েছে মণিপুরের। এখানকার প্রজনন হার ২.২ শতাংশ। সব বিষয়ে একটু সামঞ্জস্য বজায় রেখে চলতে হয়। কোন কিছুই খুব বেশি বা খুব কম কোনটাই ভালো নয়। যেকোনো রাজ্যের সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রজনন হার ২.১ শতাংশ থাকা বাঞ্ছনীয়। তার চেয়ে কমে গেলেও রাজ্যে যুব সমাজের চেয়ে বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বেড়ে যেতে থাকে। এই সমস্যায় ভুক্তভোগী জাপান। একদিকে যখন ভারতবর্ষে প্রজনন হার দিন দিন লাগাম ছাড়া ভাবে বেড়েই চলেছে অন্যদিকে জাপানের প্রজনন হার কমছে। সমস্যায় কিন্তু দুটো দেশই।
আরও পড়ুন ? Kolkata Metro: কলকাতার ৩টি মেট্রো স্টেশন নিয়ে আর থাকবে না কাউন্টার, তাহলে এবার টিকিট কাটবেন কীভাবে?
কিন্তু ভারতের এই ৫টি রাজ্যের লাগাম ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রতিরোধ করা প্রয়োজন। বিশ্ব জনসংখ্যা দিবসের অনুষ্ঠানে জেপি নাড্ডা স্বয়ং এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন। একদিকে যেমন ৫টি রাজ্যে ব্যাপক হারে বেড়ে চলেছে জনসংখ্যা (Population in India)। অন্যদিকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার খুবই কম এমন রাজ্যের সংখ্যাও কিন্তু রয়েছে বেশ কয়েকটি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো গোয়া, লাদাখ, লাক্ষাদ্বীপ, চন্ডিগড় এই সমস্ত রাজ্যের প্রজনন হার মাত্র ১.৩৫ শতাংশ থেকে ১.৩৯ শতাংশের মধ্যে। সিকিম তো একেবারেই পিছিয়ে রয়েছে এই রাজ্যের প্রজনন হার মাত্র ১.১ শতাংশ। জেপি নাড্ডা জানিয়েছেন, ভারতকে বিকশিত করতে হলে আগে নাগরিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করা প্রয়োজন। আর সেটা তখনই সম্ভব হবে যখন পরিবার ছোট হবে। তাই জন্ম নিয়ন্ত্রণ আবশ্যিক।
তবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের তরফ থেকে একটি অন্যরকম তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। ভারতের এই লাগাম ছাড়া জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার চলবে ২০৬০ সাল পর্যন্ত। এই সময়ের মধ্যে ভারতের জনসংখ্যা (Population in India) ১৭০ কোটি ছাড়িয়ে যেতে পারে। তারপর তা কমতে শুরু করবে। শুধু ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের ক্ষেত্রে একই কথা বলেছে রাষ্ট্র সংঘ। ২০৬০ সাল থেকে ২০৮০ সালের মধ্যে ভারতসহ গোটা বিশ্বের জনসংখ্যা দাঁড়াতে পারে ১০০০ কোটির বেশি। কিন্তু তারপরেই এই হার কমতে শুরু করবে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভারতের জনসংখ্যা ১৪৫ কোটি। ২০৫৪ সালে জনসংখ্যার দাঁড়াবে ১৫৯ কোটি। কিন্তু ২১০০ সালে সেই হার নিম্নগামী হবে। সেই সময় ভারতের জনসংখ্যা দাঁড়াবে মাত্র ১৫০ কোটিতে। কিন্তু তখনো কিন্তু বিশ্বের সর্বোচ্চ জনবহুল দেশ (Population in India) হিসেবেই পরিচিত হবে ভারত।