নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর দ্বিতীয়বারের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বাজেট (Union Budget 2024) পেশ করা হলো। ভোটের আগে একবার বাজেট হয়েছে, যে বাজেট ছিল ভোট অন অ্যাকাউন্ট। আর এরপর ২৩ জুলাই মঙ্গলবার ভোটের পরবর্তী বাজেট পেশ করা হল। এবারের বাজেট বেশ জনদরদি বাজেট বলেই অনেকে মতামত পোষণ করছেন, আবার অনেকেই এর বিরুদ্ধে গিয়েছেন।
বাজেট কি হল তা নিয়ে সবচেয়ে বেশি মাথাব্যথা রাজনৈতিক মহল থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের থাকে। কিন্তু সাধারণ মানুষরা বাজেটে যে জিনিসটির উপর নজর রাখেন তা হল, কোন কোন জিনিসের দাম (Union Budget Goods Price) কমছে অথবা কোন কোন জিনিসের দাম বাড়তে চলেছে। প্রত্যেক বাজেটেই কোনো না কোনো জিনিসের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আবার কোন না কোন জিনিসের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কোন কোন জিনিসের দাম কমানো হচ্ছে তার মধ্যে আবার সাধারণ মানুষদের নজর থাকে মূলত নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দিকে। এবারের বাজেটে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বিভিন্ন পণ্যের উপর থেকে শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। শুল্ক কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই ওই সকল জিনিসের দাম কমতে চলেছে।
এবারের বাজেট ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দাম কমলো মোবাইল, চার্জার, ক্যান্সার নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত তিনটি ওষুধ, ফটোকপি মেশিন, সোনা, রুপো, প্লাটিনাম, চর্মজাত পণ্য, ২৫টি খনিজ পদার্থ, বৈদ্যুতিন বিভিন্ন সরঞ্জাম, সামুদ্রিক খাবার।
গত কয়েক মাস ধরে যেভাবে সোনা থেকে শুরু করে রুপো এবং অন্যান্য ধাতু যেগুলি অলংকারের জন্য ব্যবহার করা হয় সেগুলির দাম রীতিমতো লাগামছাড়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এই সকল ধাতুর দাম কমানোর সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা স্বস্তি পাবেন। অন্যদিকে বৈদ্যুতিন বিভিন্ন সরঞ্জামের বিক্রিও এখন অনেক বেড়েছে। এগুলির দাম কমানোর পরিপ্রেক্ষিতেও স্বস্তি ফিরবে দেশের মানুষদের মধ্যে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল ক্যান্সারের মতো রোগ নিরাময়ের জন্য তিনটি ওষুধের দাম কমানো। কেননা ঐ সকল ওষুধের পিছনে রোগগ্রস্ত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রচুর টাকা খরচ করতে হতো।
এবার বাজেটে যে সকল জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে সেগুলি হল প্লাস্টিক, পিভিসি ফ্লেক্স, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। সরকারের তরফ থেকে প্লাস্টিকজাত জিনিসপত্রের শুল্ক বাড়িয়ে দেওয়া হল। অন্যদিকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের উপর ৭.৫০ শতাংশ কর নেওয়া হতো তা এখন বাড়িয়ে করা হলো ১০ শতাংশ।