নিজস্ব প্রতিবেদন : গত কয়েক মাস ধরে সোনার দাম (Gold Price) যেভাবে বৃদ্ধি পেয়েছিল তাতে মধ্যবিত্তদের সোনায় হাত দেওয়া দুরূহ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বিয়ে সহ অন্যান্য অনুষ্ঠানের কারণে বাধ্য হয়ে কিছু কিছু মানুষ সোনা কিনছিলেন। সোনার দাম বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে রীতিমতো ব্যবসায়ীদেরও মাথায় হাত পড়েছিল। কেননা খুব প্রয়োজন না হলে ক্রেতারা সোনার দোকানের দিকে মুখ রাখছিলেন না।
তবে মঙ্গলবার কেন্দ্র সরকার এমন এক পদক্ষেপ নেয় যার পরিপ্রেক্ষিতে বাপ বাপ বলে সোনার দাম কমবে। মূলত কেন্দ্রীয় বাজেটে সোনা, রুপো ও প্লাটিনামের মতো ধাতুর উপর থেকে আমদানি শুল্ক ছাড়ের ঘোষণার পর থেকেই সোনার দাম কমতে শুরু করে। অন্ততপক্ষে বুধবার বাজারে যা দেখা গেল তাতে এমনটাই প্রমাণিত।
মঙ্গলবারের তুলনায় বুধবার সোনার দামে খুব একটা বদল দেখা না গেলেও কেন্দ্র সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী আমদানি শুল্কের ছাড় পুরোদমে কার্যকর হতে শুরু করলেই সোনার দাম অনেকটাই কমে যাবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। শুধু সোনার দাম নয়, পাশাপাশি রুপো ও প্লাটিনামের দামও হু হু করে কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে কারণেই সোনা অথবা রুপো ও প্লাটিনামের মত ধাতুর গয়না কেনার পরিকল্পনা থাকলে আরো কয়েকদিন অপেক্ষা করে নেওয়া উচিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এক দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করে নেওয়া ঠিক হবে বলে মনে করছেন তারা।
আরও পড়ুন ? Gold Loan Interest: সোনার বদলে টাকা, কোন ব্যাঙ্কে কম খরচে দেবে আপনাকে দুর্দান্ত সুবিধা
কেন্দ্র সরকারের সোনার পর গতকালকের তুলনায় বুধবার ২২ ক্যারেট সোনার এক গ্রামের দাম কমেছে ১০ টাকা। এদিন ২২ ক্যারেট ১ গ্রাম সোনার দাম কলকাতায় ছিল ৬৪৯৪ টাকা। ২৪ ক্যারেট ১ গ্রাম সোনার দাম গতকালকের তুলনায় ১০ টাকা কমেছে। ২৪ ক্যারেট এক গ্রাম সোনার দাম কলকাতায় এখন ৭ হাজার ৮৫ টাকা। ১৮ ক্যারেট ১ গ্রাম সোনার দাম ১০ টাকা কমেছে গতকালকের তুলনা। এদিন ১৮ ক্যারেট ১ গ্রাম সোনার দাম ছিল ৫৩১৩ টাকা। একইভাবে রুপোর দামও কমেছে। এদিন এক গ্রাম রুপোর দাম ছিল ৮৭ টাকা ৯০ পয়সা।
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে বাজেটে সোনা, রুপো ও প্লাটিনামের মত ধাতুর উপর বেসিক কাস্টম ডিউটি ১০% থেকে কমিয়ে ৬% করার ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি আমদানি শুল্ক ১৫% থেকে কমিউনিক ১১% করার ঘোষণা করা হয়েছে। এমন ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে সোনার দাম অনেকটাই কমবে এমনটাই স্বাভাবিক বলে মনে করা হচ্ছে। তবে নতুন এই ঘোষণা এবং সোনা, রুপোর দামের ক্ষেত্রে ভালোভাবে ছাড় পাওয়ার জন্য অন্ততপক্ষে এক থেকে দুই সপ্তাহ অপেক্ষা করা উচিত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।