Recruitment Scam Court Verdict: যোগ্যতা ছাড়া চাকরি! ১২ শতাংশ সুদ সহ ফেরাতে হবে বেতন, হাইকোর্টের নির্দেশে বুক কাঁপছে ভুয়ো শিক্ষকদের

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : যোগ্যতা ছাড়া চাকরি অর্থাৎ ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগ রয়েছে। বড় বড় ভুয়ো নিয়োগের ক্ষেত্রে চলছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিদের দ্বারা তদন্ত। আর এসবের মধ্যেই ভুয়ো নিয়োগ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের একটি রায়ে (Recruitment Scam Court Verdict) ওই ধরনের শিক্ষকদের বুক কাঁপতে শুরু করেছে।

Advertisements

স্কুল সার্ভিস কমিশন অর্থাৎ এসএসসি ছাড়াই বেশ কিছু শিক্ষক শিক্ষিকা চাকরি করছেন রাজ্যের একাধিক স্কুলে। এই ধরনের শিক্ষকদের খুঁজে খুঁজে বের করে চিহ্নিত করার কাজ চালাচ্ছে রাজ্য সরকারের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি। ইতিমধ্যেই এই ধরনের ঘটনায় সাত জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে যে সাতজনের চাকরি আগেই কেড়ে নিয়েছে এসএসসি। আর এবার তাদের বেতন ফেরত দেওয়ার পালা।

Advertisements

বেতন ফেরত দেওয়া মানে জীবনের যেটুকু পরিশ্রম করেছিলেন সবটাই বৃথা, আবার শুধু বেতন ফেরত দেওয়া নয়, পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে ১২% সুদের হারে বেতন ফেরত দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সকল শিক্ষকদের কর্মজীবনের সমস্ত বেতন সুদ সহ ফেরত দিতে হবে। এমনকি ওই সকল শিক্ষকরা যাতে সুদ সহ তাদের বেতন তাড়াতাড়ি ফেরত দেয় তার জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Bangladesh: ভারত থেকে বাংলাদেশে হাজার হাজার পড়ুয়ারা মেডিক্যাল পড়তে যান, কেন জানেন?

ভুয়ো শিক্ষক নিয়োগের এমন উদাহরণের কথা বলতে গেলে মুর্শিদাবাদের সুতির গোথা এ রহমন হাই স্কুলের শিক্ষক নিয়োগের প্রসঙ্গ টানতেই হয়। ওই স্কুলে এই ধরনের ভুয়ো শিক্ষক ধরা পড়ার পাশাপাশি তার চাকরি কেড়ে নেওয়ার ঘটনার পর রাজ্যের আরো বেশ কয়েকটি স্কুল থেকে এমন শিক্ষকদের চিহ্নিত করা হয়। তাদেরও চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়েছে আদালতের নির্দেশে। এমনকি মুর্শিদাবাদের ওই স্কুলের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডির হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছিল এসএসসির পশ্চিমাঞ্চলের চেয়ারম্যানকেও।

মুর্শিদাবাদের যে স্কুলের কথা বলা হচ্ছে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ছেলেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। নিয়োগ পত্র থেকে সুপারিশপত্র, সমস্ত কিছু জাল করে তিনি স্কুলে নিযুক্ত হয়েছিলেন। এরপর সেই মামলা কলকাতা হাইকোর্টে গড়ায়। এমনকি এই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে রাজ্যের আরও একাধিক স্কুলে এমন ঘটনার বিষয় সামনে আসে। আর এরপরেই নড়েচড়ে বসে কলকাতা হাইকোর্ট, তাদের তরফ থেকে এবার এমন রায় দেওয়া হল যার পরিপ্রেক্ষিতে এই ধরনের জালিয়াতি করে চাকরি করার কথা অনেকেই ভুলে যাবেন।

Advertisements