These 3 schemes of the Central Government are showing the direction of earning for Unemployed Youth: আমাদের সমাজের সবথেকে বড় সমস্যা হলো বেকারত্ব, দেশের বহু যুবক-যুবতী উচ্চশিক্ষিত হওয়া সত্ত্বেও তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী সঠিক চাকরি পাচ্ছে না দীর্ঘদিন ধরে।। জীবনে তাদের নানারকম সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অবশেষে কেন্দ্রীয় সরকার শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য এবং তাদের জীবনকে সঠিক গতিতে নিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি স্কিম চালু করেছে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই তিনটি স্কিম (Schemes for Unemployed Youth) বেকার যুবক-যুবতীদের নতুন রোজগারের দিশা দেখাতে একেবারে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। তিনটি উল্লেখযোগ্য স্কিম হলো, প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা এবং প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা। এই স্কিমগুলোর দ্বারা দেশের বেকার যুবক-যুবতীরা আর্থিক সহায়তা লাভ করবে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রেও অনেকটা সহায়তা হবে তাদের। আজকের প্রতিবেদনে আপনারা জানতে পারবেন এই স্কিমগুলো থেকে তারা কি কি সুবিধা লাভ করছে।
প্রধানমন্ত্রী কৌশল বিকাশ যোজনা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বরাবর দেশের জনগণের সুবিধার্থে নানারকম প্রকল্প চালু করেছে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ২০১৫ সালে চালু করা দেশের বেকার যুবক যুবতীদের জন্য একটি স্কিম (Schemes for Unemployed Youth)। স্কিমটি প্রধানমন্ত্রী যুব প্রশিক্ষণ কর্মসূচি নামেও পরিচিত। এই স্কিমের দ্বারা যুবক যুবতীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় পাশাপাশি তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়। প্রশিক্ষিত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণের পরে একটি সরকারি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। বেকার যুবক-যুবতীরা খুব সহজেই সরকারি এবং বেসরকারি জায়গায় এর মাধ্যমে চাকরি পেতে পারবে।। যারা এই স্কিমের থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হয়েছে সেইসব বেকার যুবক যুবতীরা চাইলে নিজের ব্যবসা করতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা
এমন অনেক ব্যক্তি আছে যারা রাস্তার ধারে ছোটখাটো ব্যবসা পরিচালনা করে। এই প্রকল্পের দ্বারা তারা ঋণ নিতে পারবে। এই ঋণও সম্পূর্ণ জামানত মুক্ত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ২০২০ সালে রাস্তার ধারের ব্যবসায়ীদের উন্নতির কারণে এবং আয় বৃদ্ধির জন্য চালু করেছিল এই প্রকল্পটি (Schemes for Unemployed Youth)। যদি আপনি এই প্রকল্পের দ্বারা ঋণ নেন তাহলে তিনটি কিস্তির মাধ্যমে আর্থিক সহায়তা পাবেন। তবে ঋণের টাকা আপনাকে বারো মাসের মধ্যেই ফেরত দিতে হবে। প্রথম কিস্তিতে দেওয়া হবে ১০ হাজার টাকা। যদি এই টাকা উপভোক্তা সময় মতো শোধ করতে পারে তাহলে প্রথমবারের দ্বিগুণ অর্থাৎ ২০ হাজার টাকা ঋণের আবেদন করতে পারবেন। আবার দ্বিতীয় কিস্তির টাকা মিটিয়ে দিতে পারলেই পাওয়া যাবে তৃতীয় কিস্তিতে ৫০০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণ। এই যোজনায় আবেদন করতে গেলে কি কি নথিপত্রের প্রয়োজন তা প্রতিবেদনের মাধ্যমেই জানতে পারবেন।
আরও পড়ুন ? Railway Penalty Rule: ট্রেনে চলবে না কোনো কায়দা! বড় সিদ্ধান্ত রেলের, ধরা পড়লেই বড় শাস্তি
প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা
এই প্রকল্পটিও দেশের যুবক-যুবতীদের জন্য একেবারে আদর্শ প্রকল্প। প্রধানমন্ত্রী ২০১৫ সালে গোটা দেশ জুড়ে স্বকর্মসংস্থান প্রচারের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগকে সামনে রেখেই চালু করা হয় প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা বা PMMY। যারা এই প্রকল্পের অধীনে ঋণ নিতে চায় তারা পেয়ে যাবে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণের সুবিধা। সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল এই ঋণ এর টাকা সম্পূর্ণ ভাবে জামানত মুক্ত।
আপনি এই ঋণের সুবিধা পেয়ে যাবেন বিশেষত অ-কৃষি ও অ-কর্পোরেট ক্ষেত্রে। দেশের বহু বেকার যুবক-যুবতীরা রয়েছেন যারা নিজেদের ব্যবসা করে জীবনে প্রতিষ্ঠিত হতে চান কিন্তু ব্যবসা শুরু করার মূলধন তাদের কাছে নেই। তারা প্রধানমন্ত্রী মুদ্রা যোজনা মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করে নিজস্ব ব্যবসা শুরু করতে পারেন। নিম্নোক্ত তিনটি বিভাগে এই ঋণ পাওয়া যায়।
- শিশু ঋণ: শিশু ঋণের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ঋণ পাওয়া যেতে পারে।
- কিশোর ঋণ: এই ঋণ এর মাধ্যমে বেকার যুবক যুবতীরা আর্থিক সাহায্য পেতে পারে ৫ লক্ষ টাকা।
- তরুণ ঋণ: এর মাধ্যমে উপভোক্তাকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়।