নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন দিন যেভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে সাধারণ মানুষদের জিনিসপত্র কেনার ক্ষেত্রে নাভিশ্বাস অবস্থা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বারবার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সাধারণ মানুষেরাও সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। তবে এসবের মধ্যেই এবার কেন্দ্রীয় বাজেটে কেন্দ্র সরকার বেশ কিছু ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত নেয় যার ফলে ওই সকল জিনিসপত্রের দাম কমবে বলে আশা করা হচ্ছে। আবার এসবের মধ্যেই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমাতে GST নিয়ে নতুন পরিকল্পনা (GST New Planing) গ্রহণ করা হতে পারে।
কেন্দ্রে এনডিএ জোট টানা তৃতীয়বার সরকার গঠন করার পর সম্প্রতি প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেছে। যে পূর্ণাঙ্গ বাজেটে ক্যান্সারের তিনটি জীবনদায়ী ওষুধের দাম কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কর ছাড় দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে সামুদ্রিক খাবার থেকে শুরু করে সোনা, রুপো, প্লাটিনামের মতো ধাতু সহ একাধিক জিনিসের উপর। এসবের মধ্যেই জিএসটির স্ল্যাব পরিবর্তন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছে কেন্দ্র বলেই জানা গিয়েছে।
সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জিএসটির নিয়মে যে বদলানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে তার মূল উদ্দেশ্য হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম কমানো। স্বাভাবিকভাবেই এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে আগামী দিনে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দামের ক্ষেত্রে সাধারণ নাগরিকরা অনেকটাই স্বস্তি পাবেন। অর্থ মন্ত্রকের অধীনে থাকা সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডাইরেক্ট ট্যাক্সেস অ্যান্ড কাস্টমসের চেয়ারম্যান সঞ্জয় আগরওয়াল এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
সঞ্জয় আগরওয়াল জানিয়েছেন, জিএসটির কাঠামোয় অনেক বেশি স্ল্যাব ভাগ করার ফলে সাধারণ মানুষদের বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে বেশি কর দিতে হচ্ছে। এছাড়াও অনেক বেশি স্ল্যাব থাকার কারণে জটিলতাও তৈরি হচ্ছে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতেই জিএসটি কর ব্যবস্থায় স্ল্যাব বদল করা হতে পারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। মূলত কর ব্যবস্থাকে আরও সহজ সরল করার জন্য এবং সাধারণ মানুষদের বেশ কিছু ক্ষেত্রে থেকে পরের বোঝা কমানোর জন্য এমন নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
২০১৭ সালে জিএসটি ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর বিভিন্ন ক্ষেত্রে বদল আনা হয়েছে। বর্তমানে ৫ শতাংশ, ১২ শতাংশ, ১৮ শতাংশ এবং ২৮ শতাংশের স্ল্যাব রয়েছে। এই চারটি স্ল্যাবের পরিবর্তন এনে তিনটি স্ল্যাব করার পরিকল্পনার কথা জানা যাচ্ছে। আগামী দিনে কেন্দ্র সরকার নতুন এই পথে হাঁটলে নৃত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম কমবে এমনটাই আশা করা হচ্ছে। তবে কি হচ্ছে তাই এখন দেখার।