নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) একদিকে যেমন দেশের কোটি কোটি মানুষকে তাদের রেল পরিষেবার মধ্য দিয়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়, ঠিক সেই রকমই আবার পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নানান ধরনের ট্রেনও চালু করেছে। পর্যটকদের জন্য যে সকল ট্রেন চালু হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো ভিস্তাডোম (Vistadome Train)। তবে এবার লোকসানের কারণে পশ্চিমবঙ্গের একটি ভিস্তাডোম ট্রেনের রুট পরিবর্তন করা নিয়ে ভাবনা চলছে।
২০২১ সালের ২৬ আগস্ট নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত একটি ভিস্তাডোম ট্রেন প্রথম চালু করা হয়। প্রথমদিকে এই ট্রেনটি সপ্তাহে তিন দিন চালানো হতো এবং পরে ওই বছর ২২ নভেম্বর থেকে সপ্তাহের সাত দিন চালানো শুরু হয়। প্রথমদিকে পর্যটকদের মধ্যে ভালো উৎসাহ থাকলেও পরবর্তীতে এখন উৎসাহ এমন জায়গায় এসে পৌঁছেছে যে টাকায় উঠছে না। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ট্রেনটির রুট বদল করা নিয়ে ভাবনা চলছে।
ভিস্তাডোম কোচের বিশেষত্ব আমরা প্রত্যেকেই জানি। এই ধরনের ট্রেনের কোচ এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে দুই দিকে বড় বড় সাদা কাঁচ লাগানো থাকে। এই ধরনের কোচে সফর করার সময় যাত্রীরা খুব ভালোভাবে আশেপাশে থাকা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারেন। পশ্চিমবঙ্গের যে ভিস্তাডোম ট্রেনটির কথা বলা হচ্ছে সেই ট্রেনটিতে চরে পর্যটকরা ডুয়ার্সের বিভিন্ন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য পরিদর্শন করতে পারেন।
আরও পড়ুন ? Complain Against Police: কাল ঘাম ছুটবে পুলিশের, ভুল করলেই করা যাবে অভিযোগ, বিশেষ ব্যবস্থা রাজ্যের
এই ট্রেনটি নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন থেকে ছাড়ার পর মহানন্দা, গরুমারা, বক্সা, জলদাপাড়ার ভিতর দিয়ে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত যাতায়াত করে। ভিস্তাডোম ট্রেনে চড়ে ডুয়ার্সের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য প্রথম দিকে কাতারে কাতারে পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেলেও ইদানিং পর্যটকদের ভাটা পড়েছে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে এই ট্রেনটিকে এবার অন্য কোন রুটে চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। যদিও এই ট্রেনে পর্যটকদের ভিড় না হওয়ার কারণে ট্রেনের সময়সূচীকে অনেকেই দায়ী করেছেন।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে আলিপুরদুয়ার ভিস্তাডোম ট্রেনটির রুট পরিবর্তন করে ট্রেনটিকে মালবাজার থেকে গরুমারা হয়ে চ্যাংড়াবান্ধা লাইনে চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হচ্ছে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের তরফ থেকেই বলে জানা গিয়েছে আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের ডিআরএম অমরজিৎ গৌতমের থেকে। যদিও এই বিষয়ে এখনো পর্যন্ত চূড়ান্ত কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ হয়নি বলেও তিনি জানিয়েছেন। তবে এমন জল্পনা তৈরি হতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে শুরু করে পর্যটন ব্যবসার সঙ্গে যুক্তদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, সকাল সাতটার পরিবর্তে অন্য কোন টাইম টেবিল বাছলেই ট্রেনটিতে ভিড় হবে। কেননা ওই টাইমে ট্রেনটি চলার কারণে কলকাতা বা দক্ষিণবঙ্গের অন্যান্য জায়গা থেকে আসা পর্যটকরা চড়ার সুযোগ পান না।