নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রত্যেক ব্যাঙ্ক থেকে শুরু করে আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সব ধরনের নিয়ম পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে মেনে চলতে হয়। এই সকল নিয়ম না মানলেই কেন্দ্রীয় ব্যাংক অর্থাৎ রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়। ঠিক সেই রকমই এবার রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বড় অ্যাকশন (RBI Action On Bank) নিয়ে একটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করে দিল।
২০২৪ সালে নিয়ম অমান্য করার জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া বেশ কয়েকটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করেছে। লাইসেন্স বাতিল করার নিরিখে চলতি বছরে সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হলো পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের বিরুদ্ধে অ্যাকশন। পেটিএম পেমেন্টস ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা কোটি কোটি হলেও তাদের তরফ থেকে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার নিয়ম অমান্য করার জন্য তাদের লাইসেন্স হারাতে হয়।
শুধু পেটিএম পেমেন্টস ব্যাঙ্ক নয়, এর পাশাপাশি দিন কয়েক আগেই জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল কর্ণাটক সিমসা সহকরা ব্যাংকের। জুন মাসের শেষের দিকে লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছিল দ্য সিটি কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের। ঠিক সেই রকমই এবার জুলাই মাসের শেষের দিকে আরো একটি ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। লাইসেন্স হারানোর ফলে ওই ব্যাংক ইতিমধ্যেই তার ব্যবসা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
আরও পড়ুন ? Chartered Accountant: সবজি বিক্রি করে ছেলেকে মানুষ! CA পাশ করে মায়ের সম্মান রাখলেন ছেলে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এবার যে ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে, সেই ব্যাঙ্কটি হল অসমের। অসমের তেজপুরে অবস্থিত মহাভৈরব কো-অপারেটিভ আরবান ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল করার বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। পর্যাপ্ত টাকা না থাকার কারণে এই ব্যাংকটিকে আর ব্যবসা করতে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। এছাড়াও গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য লিকুইডেটর নিয়োগ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে ব্যাংকের যা আর্থিক অবস্থা তাতে গ্রাহকদের পুরো টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব হবে না বলেও জানা যাচ্ছে। এক্ষেত্রে ওই ব্যাংকের যে সকল গ্রাহক রয়েছেন তারা আমানত বিমা ও ক্রেডিট গ্যারান্টি কর্পোরেশন থেকে সর্বোচ্চ ৫ লক্ষ টাকা পাবেন। যদিও ওই ব্যাংকের গ্রাহকদের ৯৯.৮% আমানতকারীরা তাদের পুরো টাকা ফেরত পেয়ে যাবেন বলেই জানা গিয়েছে। তবে ইদানিংকালে যেভাবে বিভিন্ন কো-অপারেটিভ ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হচ্ছে তাতে ওই সকল কো-অপারেটিভ ব্যাংকে টাকা রাখা কতটা সুরক্ষিত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।