IDBI Bank: সব কাজ শেষের দিকে! বিক্রি হওয়ার পথে দেশের একটি সরকারি ব্যাঙ্ক

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সরকারি ব্যাংককে বেসরকারিকরণ করা নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই নানান জল্পনা চলছে দেশজুড়ে। সেই সকল জল্পনার মধ্যেই বিভিন্ন সময় এমন পরিকল্পনা আটকে গিয়েছে কর্মীদের বিক্ষোভ থেকে শুরু করে দেশজুড়ে অসন্তোষের পরিপ্রেক্ষিতে। তবে এবার সব কাজ প্রায় শেষের দিকে এবং একটি সরকারি ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংকে পরিণত হওয়ার মুখে বলেই জানা যাচ্ছে নাম প্রকাশে অঞ্চল এক আধিকারিক সূত্রে।

Advertisements

বেসরকারিকরণের পথে যে ব্যাংকটি হাঁটতে চলেছে সেই ব্যাংক খুব পরিচিত একটি ব্যাংক। ওই ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা দেশে কোটি কোটি। যে ব্যাংকটির কথা বলা হচ্ছে সেই ব্যাংকটি হল আইডিবিআই ব্যাঙ্ক (IDBI Bank)। জানা গিয়েছে, এই ব্যাংককে বেসরকারিকরণ করার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফ থেকে যাবতীয় প্রক্রিয়ার বিষয়ে মঞ্জুর দেওয়া হয়েছে। আর এই বিষয়ে খুব তাড়াতাড়ি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (RBI) সবুজ সংকেত দিতে পারে।

Advertisements

কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এলআইসি ও আইডিবিআই ব্যাংকের ৬১% শেয়ার বিক্রি করার প্রস্তুতি নিয়েছে। যা জানা যাচ্ছে তাতে এলআইসির ৩০.২৪ শতাংশ এবং আইডিবিআই ব্যাংকের ৩০.৪৮ শতাংশ শেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এক্ষেত্রে আইডিবিআই ব্যাংকের শেয়ার কেনার জন্য ইওয়াই আগ্রহ দেখিয়েছিল বলে জানানো হয়েছিল ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসে। এরপর গত দেড় বছর ধরে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া।

Advertisements

আরও পড়ুন ? ঝট করে পড়াশুনায় মন বসবে সন্তানদের, অভিভাবকদের জন্য ৪ মোক্ষম দাওয়াই

আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এবং রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া দুয়েরই অনুমোদন প্রয়োজন নিয়ম অনুসারে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের বেসরকারিকরণের ক্ষেত্রে যে সময়সীমা ধার্য করা হয়েছিল তা পেরিয়ে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদিও আশা করা হচ্ছে খুব তাড়াতাড়ি সমস্ত রকম অনুমোদনের পরিপ্রেক্ষিতে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের শেয়ারের ৩০.৪৮ শতাংশ বিক্রি হয়ে যাবে।

বর্তমানে সরকার এবং এলআইসির কাছে আইডিবিআই ব্যাঙ্কের থাকা মোট শেয়ারের পরিমাণ ৯৪.৭২ শতাংশ। তবে ৬১% শেয়ার বিক্রি হয়ে যাওয়ার পর তা কমে তার আগে প্রায় ৩৪ শতাংশ। চলতি অর্থ বর্ষেই সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে এমনই টার্গেট নেওয়া হয়েছে এবং সেই টার্গেট অনুযায়ী ৫০০০০ কোটি টাকা জড়ো করা হবে। তবে এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তার প্রভাব কোনভাবেই গ্রাহকদের ওপর পড়বে না। গ্রাহকরা আগের অথবা এখনকার মতোই ভবিষ্যতেও নিজেদের অ্যাকাউন্ট থেকে শুরু করে ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড সহ অন্যান্য সমস্ত সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী কাজ করতে পারবেন।

Advertisements