নিজস্ব প্রতিবেদন : জুলাই মাস, ভরা বর্ষাকাল এসেও দক্ষিণবঙ্গের তাপমাত্রা সেই ভাবে কমতে দেখা যাচ্ছে না। মাঝে মাঝে বৃষ্টি হলে তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে, তবে বৃষ্টি না হলেই অসহ্য গরম। কিন্তু এরই মধ্যে কাশ্মীরের তাপমাত্রা সবাইকে অবাক করেছে। জুলাই মাসেও কাশ্মীরের তাপমাত্রা (Kashmir High Temperature) এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে সেখানে স্থানীয় প্রশাসনকে দুদিনের জন্য স্কুল ছুটি দিতে বাধ্য হতে হলো।
কাশ্মীর উপত্যকায় জুলাই মাসে এমন উচ্চ তাপমাত্রার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাপমাত্রার পারদ যেভাবে এবার বেড়েছে তা নজিরবিহীন বলেই মনে করা হচ্ছে। এবার উপত্যকা অঞ্চল উষ্ণ জুলাই মাসের সাক্ষী থাকলো। আর এমন পরিস্থিতি দেখে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত দুদিন স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ২৯ ও ৩০ জুলাই স্কুল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সর্বোচ্চ তাপমাত্রার পারদ এমন হু হু করে বাড়তে দেখে কাশ্মীর প্রশাসন গত রবিবার এমন বিজ্ঞপ্তি জারি করে। তবে স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বন্ধ থাকলেও শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং শিক্ষা কর্মীদের স্কুলে আসার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা সমস্ত সরকারি থেকে শুরু করে বেসরকারি স্কুলের জন্য বলেই জানানো হয়েছে। কাশ্মীরে জুলাই মাসে এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১৯৯৯ সালের পর ২০২৪ সালে দেখা গেল।
আরও পড়ুন ? Mobile Recharge: মোবাইল রিচার্জের খরচ কমাতে এবার আসরে নামলো TRAI, নেওয়া হলো নতুন পদক্ষেপ
জানা যাচ্ছে, গত কয়েকদিন ধরেই কাশ্মীরে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। এরই মধ্যে রবিবার সেই তাপমাত্রা ৩৬° ছাড়িয়ে যায়। জুলাই মাসে এর আগে ১৯৯৯ সালের ৯ জুলাই কাশ্মীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩৭°। যদিও এর থেকেও তাপমাত্রা বেশি হওয়ার রেকর্ড রয়েছে কাশ্মীরে। আর সেই রেকর্ড হলো ১৯৪৬ সাল। যেবার জুলাই মাসে কাশ্মীরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ৩৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
কাশ্মীরে সারাবছর সাধারণত সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নিচে থাকে। কেবলমাত্র জুলাই মাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা কিছুটা হলেও বাড়তে দেখা যায়। জুলাই মাসে কাশ্মীরের তাপমাত্রা সর্বনিম্ন ৬ ডিগ্রি থেকে সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রির মধ্যে ঘোরাফেরা করে। তবে এবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেহেতু ৩৬ ডিগ্রির উপরে চলে গিয়েছে তাই চিন্তা বেড়েছে এলাকার বাসিন্দাদের। মূলত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যদিও আগামী দু’দিনের মধ্যে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস।