নিজস্ব প্রতিবেদন : এক দশকের বেশি সময় হয়ে গেল ভারতীয় নাগরিকদের জন্য কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card)। আধার কার্ড আসার পর এই কার্ড এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যে এখন সাধারণ নাগরিকদের আধার কার্ড ছাড়া চলে না বললেই চলে। ঠিক সেই রকমই আধার কার্ডের আদলে এবার জমির জন্য চালু হতে চলেছে ভূ-আধার (Bhu Aadhaar)। এই ব্যবস্থা চালু হলে অজস্র সুবিধা (Bhu Aadhaar Benefits) মিলবে বলেই জানা যাচ্ছে।
জমি জায়গার জন্য এমন ভূ-আধার চালু করার বিষয়ে সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাজেটে ঘোষণা করেছেন দেশের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি এমন ভূ-আধার চালুর মূলত প্রস্তাব দিয়েছেন। এই পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে মূলত লক্ষ্য দেশের গ্রাম ও শহরের ভূমি সংস্কার। পাশাপাশি এই পরিকল্পনার মধ্য দিয়েই দেশের সমস্ত জমি-জমার ডিজিটালাইজেশন করতে চাইছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর নির্মলা সীতারামন যা জানিয়েছেন তাতে আগামী তিন বছরের মধ্যে দেশের সমস্ত ভূমি সংস্কারের কাজ করা হবে। এমন ভূমি সংস্কারের কাজ চলবে মূলত ভূ-আধারের মাধ্যমে। আর এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য সরকারগুলিকে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ করা হবে। কেন্দ্র সরকার এই যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তার ফলে অনেক সুবিধা পাবেন দেশের নাগরিকরা বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন ? সারাদিন ফোন, ল্যাপটপ চালিয়ে চোখের বারোটা বাজছে! আরাম মিলবে এই ৩ ব্যায়ামে
বিশেষজ্ঞ মহলের তরফ থেকে দাবী করা হচ্ছে, সরকার এই পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে জমির মালিকানার অধিকার ও সেই সংক্রান্ত নথি সংগ্রহ করে রাখবে। এই কাজ পুরোপুরি ভাবে শেষ হলে সবচেয়ে বড় যে সুবিধা পাওয়া যাবে তা হলো জমি বিবাদের সংখ্যা রাতারাতি কমে যাবে। এছাড়াও পুরো প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজেশন হয়ে গেলে সাধারণ বাসিন্দারাও ঝট করে তাদের জমিজমা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন। জমিজমা নিয়ে কোনরকম জালিয়াতি করা হচ্ছে কিনা তাও টের পাওয়া যাবে সহজেই। এছাড়াও এই ব্যবস্থা পুরোপুরি ভাবে চালু হলে কৃষি ঋণ থেকে শুরু করে কৃষি সংক্রান্ত অন্যান্য সুবিধা সহজেই প্রদান করা যাবে।
আধার কার্ডের মতো জমি জমা নিয়ে যে ইউনিক নম্বর আনার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে তার পোশাকি নাম হল ইউনিক ল্যান্ড পার্সেল আইডেনটিফিকেশন নম্বর বা ইউএলপিআইএন। এর মাধ্যমেই প্রশাসনের কাছে থাকবে জমির আলাদা নম্বর, যে নম্বরের মধ্য দিয়ে জমির শনাক্ত করা যাবে, জমির ম্যাপিং এবং কার নামে ওই জমি রয়েছে অর্থাৎ জমির মালিকানা সংক্রান্ত তথ্য। আধার কার্ডে যেমন ১৪ ডিজিটের নম্বর রয়েছে ঠিক সেই রকমই ১৪ ডিজিটের নম্বর আনা হবে।