নিজস্ব প্রতিবেদন : স্কুল পড়ুয়াদের জন্য বছরের পর বছর ধরে চলে আসছে মিড ডে মিল (Mid Day Meal) ব্যবস্থা। যাতে পড়ুয়াদের খালি পেটে পড়াশোনা করতে না হয় তার জন্য এমন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। এছাড়াও মিড ডে মিলে যাতে মরসুমি ফল, বিশুদ্ধ জল সহ বিভিন্ন রকম খাবার-দাবার দেওয়া হয় তার জন্য জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা আইন ২০১৩ এ উল্লেখ রয়েছে। আর এবার এই নিয়েই নতুন নির্দেশ দেওয়া হল।
মিড ডে মিল ব্যবস্থাই পড়ুয়াদের খাওয়া-দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হলেও কিন্তু সেই খাবার অনেকটাই একঘেয়েমি। ভাত, ডাল, তরকারি ছাড়া বরাদ্দের অভাবে সেই ভাবে কিছু জোটে না বললেই চলে। মাঝে মাঝে নিয়ম মেনে ডিম দেওয়া হয়। তবে সেই ডিম দিতেও রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। আর এসবের মধ্যেই এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে মিড ডে মিলে তিথি ভোজনের (Mid Day Meal Tithi Bhojan) আয়োজনের নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
মিড ডে মিল ব্যবস্থাই তিথি ভোজনের আয়োজন করে স্বাদে ভরা বিভিন্ন ধরনের খাবার-দাবার দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে তিথি ভোজনের নির্দেশ দেওয়া হলেও মিড ডে মিলের পিছনে বরাদ্দ কিন্তু বাড়ানো হয়নি, বরং বরাদ্দ কমানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে কিভাবে এই নির্দেশ মান্য হবে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। যদিও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের তিথি ভোজনের আয়োজন রয়েছে আগে থেকেই।
আরও পড়ুন ? স্কুলের চার পড়ুয়ার উদ্যোগে মিড ডে মিলে পড়ুয়াদের শেষ পাতে পড়ল লোভনীয় খাবার
কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে সম্প্রতি তিথি ভোজনের বিষয়ে যে ঘোষণা করা হয়েছে তার পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ তিথি অথবা পূণ্য তিথি উপলক্ষে এলাকার ভিত্তিতে বিশেষ খাবার তুলে দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে এমন ঘোষণা করা হলেও কিন্তু বরাদ্দ টাকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। যদিও এই নির্দেশিকা মেনে যদি সত্যিই পড়ুয়াদের জন্য তিথি ভোজনের বন্দোবস্ত করা হয় তাহলে পড়ুয়াদের একই ধরনের খাবারের স্বাদ বদলাতে চলেছে।
বর্তমানে বাড়তি কোন বরাদ্দ ছাড়াই যে সকল স্কুলে তিথি ভোজনের আয়োজন করা হয় সেগুলি মূলত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিজস্ব উদ্যোগে। কোন শিক্ষক-শিক্ষিকার সন্তানের জন্মদিন উপলক্ষে অথবা তাদের বিবাহ বার্ষিকী বা বিশেষ কোনো কারণের জন্য এমন তিথি ভোজনের আয়োজন করা হয়ে থাকে। এমনটা দীর্ঘদিন ধরেই চলে আসছে বীরভূমের কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কড়িধ্যা যদুরায় মেমোরিয়াল অ্যান্ড ইন্সটিটিউশনে। যেখানে বিশেষ দিন উপলক্ষে মিড ডে মিলে মাছ, মাংস, মিষ্টি ইত্যাদির মত খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করা হয়।