নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেলের (Indian Railways) দৌলতে ভারতীয়রা এখন দেশের প্রথম সেমি হাই স্পিড ট্রেন বন্দে ভারতে চড়ে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা পৌঁছে যাচ্ছেন। তবে ভারতীয় রেলের দৌড় কিন্তু বন্দে ভারতের মধ্য দিয়েই শেষ হচ্ছে না, কেননা আসছে বুলেট ট্রেন (Bullet Train)।
বুলেট ট্রেন নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে বিভিন্ন রকম কথা শোনা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে বাংলা থেকে ঝাড়খন্ড, বিহার, উত্তর প্রদেশ হয়ে দিল্লি একটি বুলেট ট্রেন চালানো হতে পারে। এই বুলেট ট্রেন চালানো শুরু হলে যেখানে রাজধানী এক্সপ্রেসে দিল্লি পৌঁছাতে ১৭ ঘণ্টা সময় লাগে, সেই জায়গায় মাত্র ৫ ঘন্টাতেই দিল্লি পৌঁছানো যাবে। তবে রেল কি আদৌ বাংলা থেকে ঝাড়খন্ড, বিহার, উত্তরপ্রদেশ হয়ে কোন বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করছে? এই বিষয়ে সংসদে প্রশ্নোত্তরে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
বর্তমানে দেশে একটিমাত্র রুটে বুলেট ট্রেন চালু করার কাজ শুরু হয়েছে। যে কাজ আবার শুরু হয়েছে ২০২০ সালে। মাঝে কোভিড অতিমারির কারণে কাজের গতি হারায়। তবে এখন সেই কাজে গতি ফিরলেও প্রকল্পের কাজ শেষ হতে অন্ততপক্ষে ২০২৭ সাল পর্যন্ত সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। রেলের তরফ থেকে এই রুটটি বাদ দিয়ে অন্য কোন রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করছে কিনা তা নিয়ে কিছুই জানায়নি এযাবৎ।
আরও পড়ুন ? ICICI Bank Fixed Deposits: ফিক্সড ডিপোজিটে অনেকটাই সুদ বাড়িয়ে দিল ICICI ব্যাঙ্ক! টাকা বাড়বে খুব সহজে
এরই মধ্যে বুধবার সংসদে উত্তর-পূর্ব দিল্লির সাংসদ মনোজ তিওয়ারি রেলমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, দিল্লি থেকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার, ঝাড়খন্ড হয়ে বাংলা পর্যন্ত বুলেট ট্রেন চালানোর জন্য কি কোন সার্ভে করেছে রেল? রেলমন্ত্রক কি এই বিষয়টি নিয়ে কিছু ভাবছে? বিজেপি সাংসদের এমন প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব যা জানিয়েছেন তাতে আপাতত মুম্বাই আমেদাবাদ রুট ছাড়া অন্য কোন রুটে বুলেট ট্রেন চালানো নিয়ে রেলমন্ত্রকের কোন পরিকল্পনা নেই। তবে তিনি এই বিষয়টি সরাসরি বলেননি।
রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, বুলেট ট্রেন নিয়ে নানান জটিলতা রয়েছে। পুরো প্রযুক্তি নিয়ে রেল প্রথমে আত্মনির্ভর হতে চায়। প্রথম দিকে বুলেট ট্রেনের প্রযুক্তির জন্য বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ আনা হতো। এখন ৪০ মিটারের একটি গার্ডার তৈরির জন্য যে ক্রেন দরকার সেই ট্রেনের ডিজাইন করছে ভারত। এছাড়াও আরও অনেক জটিলতা রয়েছে বুলেট ট্রেনের ক্ষেত্রে। এই সমস্ত প্রযুক্তি আগে রপ্ত করায় হচ্ছে প্রথম লক্ষ্য।