নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর প্রথম থেকে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে বৃষ্টি স্বাভাবিক হবে বলে জানালেও দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে। তবে জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গেলেও জুলাই থেকে কিন্তু দেশজুড়ে শুরু হয়েছে দফায় দফায় বৃষ্টি (Monsoon Rainfall Update)। আর এবার সব সুদে আসলে পুষিয়ে দেবে বর্ষার দ্বিতীয় ইনিংস, অন্ততপক্ষে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এমনটাই জানা যাচ্ছে।
জুন মাসে বৃষ্টির ঘাটতি দেশের কিছু কিছু জায়গা বাদ দিয়ে অধিকাংশ জায়গাতে থাকার পর জুলাই মাসে দেশের বিভিন্ন জায়গাতে অতিবৃষ্টি, হড়পা বান, ভূমিধস ইত্যাদি নানান ধরনের বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। আর এরই মধ্যে হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, বর্ষার দ্বিতীয় ইনিংস হবে আরো জোরালো, চলবে ঝোড়ো ইনিংস। বর্ষার এই দ্বিতীয় ইনিংসে অতি বৃষ্টিতে ভাসবে বিভিন্ন এলাকা।
বৃহস্পতিবার দেশের আবহাওয়া অফিস অর্থাৎ মৌসম ভবন যা জানিয়েছে তা থেকে জানা যাচ্ছে, জুলাই মাসে দেশের প্রায় সর্বত্রই স্বাভাবিকের থেকে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। জুলাই মাসে যে বৃষ্টি হয়েছে তা কৃষিকাজের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী বলেও জানানো হয়েছে। আর জুলাই শেষে আগস্টে কেমন বৃষ্টি হবে সেই বিষয়টি নিয়েও হাওয়া অফিস পূর্বাভাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন ? Arijit Singh: ভালো নেই অরিজিৎ, ক্ষমা চেয়ে এবার নিলেন বড় সিদ্ধান্ত, মন ভেঙে যাবে আপনারও
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ষার দ্বিতীয় ইনিংসে মৌসুমী বায়ু আরো বেশি সক্রিয় হয়ে উঠবে। আর মৌসুমী বায়ুর এইভাবে সক্রিয় হয়ে ওঠার কারণে বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে যাবে। আগস্ট মাস থেকে বর্ষার দ্বিতীয় ইনিংসে দেশ জুড়েই বিপুল পরিমাণে অতিরিক্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আর সেই অতিরিক্ত বৃষ্টি হতে পারে ১০৬ শতাংশ পর্যন্ত। তবে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অতি বৃষ্টি, অতিরিক্ত বৃষ্টির মতো ঘটনা চোখে পড়লেও উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের একাংশের জন্য সুখবর নেই।
এই উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের অংশ হিসাবেই রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গ। যেখানে কিন্তু জুন মাসে বৃষ্টি চরম ঘাটতি থাকলেও জুলাই মাসেও খুব যে বৃষ্টি হয়েছে তা নয়। হাওয়া অফিসের পূর্বানুমান বর্ষার দ্বিতীয় ইনিংসে দেশের বিভিন্ন জায়গায় অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব ভারতের ঐ সকল অংশে অতিরিক্ত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। অর্থাৎ এই পূর্বাভাস অনুযায়ী ফের একবার কপাল পুড়লেও পড়তে পারে দক্ষিণবঙ্গের। যদিও ঘূর্ণাবর্ত এবং মৌসুমী অক্ষরেখার কারণে এখন দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলাতেই বৃষ্টির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে।