নিজস্ব প্রতিবেদন : আমরা দুবেলা যে দু’মুখো খাবার খেয়ে থাকি তা মূলত চাষীদের কঠোর পরিশ্রমের দৌলতেই। যে কারণে চাষীদের অন্নদাতা বলা হয়ে থাকে। কিন্তু এই চাষীরা তাদের পরিশ্রমের উপযুক্ত পারিশ্রমিক পায় না বলেই বছরের পর বছর ধরে অভিযোগ উঠে আসছে। তবে গত কয়েক বছর ধরেই এই সকল অন্নদাতাদের কথা মাথায় রেখে সরকারের তরফ থেকে বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। ঠিক সেই রকমই এবার একটি উদ্যোগের (Initiative for Farmer) পরিপ্রেক্ষিতে চাষীদের মুখে হাসি ফুটবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সম্প্রতি যেভাবে প্রকৃতির খামখেয়ালি অবস্থা দেখা যাচ্ছে তাকে কখনো খরা, তো আবার কখনো অতিবৃষ্টি। এসবের কারণে হামেশাই রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ফসলের ক্ষতি হওয়ার খবর আসতে দেখা যায়। এমন পরিস্থিতিকে একদিকে যেমন রাজ্য সরকার ফসলের ওপর বীমা চালু করেছে ঠিক সেই রকমই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলা প্রশাসন ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করলে নতুন একটি প্রজেক্টের জন্য।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভৌগোলিক অবস্থান এমন যে এই এলাকার অধিকাংশ জায়গা নিচু। যে কারণে সবচেয়ে বেশি সমস্যা বর্ষাকালে। খরায় যেমন বৃষ্টির না হওয়ার কারণে ফসল নষ্ট হয়ে যায়, ঠিক সেই রকমই বর্ষাকালে জল জমে যাওয়ার কারণে ফসল পচে যায়। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সেখানকার প্রধান ফসল হলো ধান ও পান। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ফুল ও সবজির চাষ হয়। কিন্তু যত সমস্যা তৈরি হয় বর্ষাকালে।
বর্ষাকালে একটু বেশি বৃষ্টি হলেই পূর্ব মেদিনীপুরের চাষযোগ্য অধিকাংশ জায়গায় প্রচুর পরিমাণে জল জমে যায় আর প্রচুর পরিমাণে জল জমে যাওয়ার কারণে ফসল ভেসে চলে যায় অথবা পচে যায়। এমন অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পূর্ব মেদিনীপুর প্রশাসনের তরফ থেকে ঝুলন্ত সিড বেড তৈরি করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। যা হলো ভাসমান মডেল নার্সারি। এই ভাবনা বাস্তবায়িত করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে সেই টাকায় দুটি আধুনিক মানের নার্সারি তৈরি করা হবে। সিএডিসির তৎপরতাই এই কাজ হবে। যা পরিচর্যার দায়িত্বে থাকবেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। এই সকল নার্সারিতে বিভিন্ন ধরনের গাছের চারা তৈরি করার পাশাপাশি শাক-সবজির চারা তৈরি করা হবে। নার্সারি দুটি তৈরি করা হবে খেজুরির ইড়িঞ্চি এবং চন্ডিপুরের ভগবানখালী এলাকায়। এমন ব্যবস্থার ফলে এবার চাষীরাও উপকৃত হবেন।