নিজস্ব প্রতিবেদন : কেন্দ্রীয় বাজেটে সোনার উপর আমদানি শুল্ক কমানোর ঘোষণার পরই হু হু করে দাম করতে শুরু করেছে সোনার (Gold)। দাম এখন এতটাই পড়েছে যে অনেকেই বলছেন, আর সোনা কিনতে দুবাই যেতে হবে না। এইভাবে সোনার দাম পড়ে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন বাজারে চাহিদা বাড়ছে, ঠিক সেই রকমই আবার হু হু করে সম্পদ হারাচ্ছেন সোনায় বিনিয়োগকারীরা। তবে এসবের মধ্যেই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া Sovereign Gold Bonds যে ঘোষণা করলো তাতে ১৪৪ শতাংশ রিটার্ন মিলবে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে সম্প্রতি Sovereign Gold Bonds প্রকল্পের চূড়ান্ত রিটার্ন মূল্য ঘোষণা করা হয়েছে। এই ঘোষণা করা হয়েছে যারা ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্র সরকারের এই প্রকল্পের বিনিয়োগ করেছিলেন তাদের জন্য। সম্প্রতি সোনার দাম কমা এবং Sovereign Gold Bonds প্রকল্প বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে যে জল্পনা চলছে তার মাঝে এই ঘোষণা রীতিমতো হাসি ফুটিয়েছে বিনিয়োগকারীদের মুখে।
Sovereign Gold Bonds প্রকল্প এমন একটি প্রকল্প যে প্রকল্পের মধ্য দিয়ে বিনিয়োগকারীরা ডিজিটাল সোনা কিনতে পারেন। মূলত বাজারের থেকে অনেকটা কম দামে সোনা দেওয়া হয়। আবার সেই সোনা বন্ড আকারে কেনার পর মোট আট বছরের জন্য তা রাখতে হয়। যদিও পাঁচ বছর পরেই বন্ডের টাকা ভাঙানো যেতে পারে। এই প্রকল্পে ডিজিটাল আকারে সোনা রাখার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত রিটার্ন পেয়ে থাকেন বিনিয়োগকারীরা।
আরও পড়ুন ? Vande Metro Trial: বিরাট সুখবর, হয়ে গেল বন্দে মেট্রোর ট্রায়াল রান, এবার বাংলায় কবে চলবে
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে যেমন সোনা বন্ড আকারে কেনার সময় নির্দিষ্ট দাম ঠিক করে দেয়, ঠিক সেইরকমই ৮ বছরের সময়সীমা পূর্ণ হলে তা ভাঙ্গার জন্য নির্দিষ্ট দাম ঠিক করে দেয়। এছাড়াও বছরে ২.৫% সুদ দেওয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে যারা ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট এই প্রকল্পের আওতায় সোনা চেয়েছিলেন তাদের ৮ বছর পূর্ণ হচ্ছে। সুতরাং তাদের বন্ডের সোনা এবার ভাঙ্গানোর সময় এসে গেছে।
এক্ষেত্রে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে আট বছর আগের সেই বন্ড সোনার চূড়ান্ত রিডিপ্সন মূল্য রাখা হয়েছে প্রতি গ্রাম ৬৯৩৮ টাকা। ২০১৬ সালের ৫ আগস্ট যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার তরফ থেকে এই প্রকল্পের আওতায় সোনা বিক্রি করা হয়েছিল তখন তার দাম ছিল গ্রাম প্রতি ৩১১৯ টাকা। অর্থাৎ এক গ্রাম সোনা যদি কারো ওই প্রকল্পের আওতায় কেনা ছিল তাহলে তিনি সরাসরি ৩৮১৯ টাকা লাভ পাবেন। হিসেব অনুযায়ী একজন বিনিয়োগকারী ১২২ শতাংশ লাভ পাচ্ছেন। এছাড়াও সুদ হিসাবে ২.৭৫ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে। আর এই সবকিছু মিলিয়ে মোট রিটার্ন মিলছে ১৪৪ শতাংশ।