নিজস্ব প্রতিবেদন : দক্ষিণবঙ্গে শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টির পর রবিবার সকাল থেকে রোদের দেখা মিলেছে। বিভিন্ন জেলায় রোদের দেখা মিললেও অবশ্য খুশি হওয়ার কিছু নেই, কেননা আবহাওয়া দপ্তর যা পূর্বাভাস দিচ্ছে তাতে ফের আসতে চলেছে ঝেঁপে বৃষ্টি। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আবহাওয়া (Weather Update) সংক্রান্ত যে রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে সেই রিপোর্ট অনুযায়ী আগামী ৭ দিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গ দুই জায়গাতেই বৃষ্টি হবে।
চলতি বছর জুলাই মাস পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গে সেই ভাবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে ছিলেন সাধারণ বাসিন্দারা। কিন্তু আগস্টের শুরুতেই যেভাবে বৃষ্টি নেমেছে তাতে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গা জলবন্দি হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই জল যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে পরিস্থিতির উন্নতি চাইছেন বাসিন্দারা। কিন্তু উন্নতি চাইলেও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে সেই ভাবে কোন আশার আলো দেখানো সম্ভব হয়নি।
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী সাতদিন উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিন কয়েক দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমবে। আবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তরবঙ্গে। রবিবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রোদের দেখা মিললেও সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে আবহাওয়ায় বদল আসবে এবং বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
আরও পড়ুন ? Toto Berhampore: টোটোর দাপাদাপি শেষ করতে চলেছে প্রশাসন, ১৫ আগস্টের পর আর চলবে না রাস্তায়
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী রবিবার মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের কোন জেলার জন্য তেমন কোন সর্তকতা নেই। তবে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি চলবে। রবিবার উত্তরবঙ্গের প্রায় সমস্ত জেলাতেই বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকার পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির পূর্বাভাস রয়েছে কালিম্পং জেলার জন্য।
মঙ্গলবার নতুন করে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। ঐদিন মূলত দক্ষিণবঙ্গের পশ্চিমের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর। মঙ্গলবার যে সকল জেলায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে সেই সকল জেলাগুলি হল উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম মেদিনীপুর। বৃষ্টির পরিমাণ এতটাই থাকতে পারে যে দৃশ্যমান্যতা হারানোর সম্ভাবনাও রয়েছে। এমন বৃষ্টির ফলে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রার পারদ কমলেও আদ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে বলেও জানানো হয়েছে।