নিজস্ব প্রতিবেদন : কেউ হিল চটির নীচের অংশ খুব সুন্দর করে কেটে তার ভিতর মোবাইল ঢুকিয়ে, আবার কেউ গোপন জায়গায় মোবাইল লুকিয়ে নার্স হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। প্রথম চেকিংয়ে ধরা না পড়লেও পরীক্ষা হলে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পরে সন্দেহ হতেই বেরিয়ে আসে একের পর এক ওই সকল মোবাইল। রবিবার এএনএম ও জিএনএম জয়েন্ট এন্টারেন্সের পরীক্ষায় (ANM GNM 2024) এমনই ঘটনা ঘটলো বীরভূমের সিউড়ির একটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। ওই সকল পরীক্ষার্থীদের এইভাবে ধরা পড়ার পর তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য স্কুল কর্তৃপক্ষ পুরো বিষয়টি কাউন্সিলকে জানায়। এরপর কাউন্সিল যা ব্যবস্থা গ্রহণ করার তা করবে।
রবিবার এমন ঘটনাটি ঘটেছে সিউড়ি বেনীমাধব ইনস্টিটিউশনে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলে মালদা জেলা থেকে বেশ কিছু পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। প্রথম পর্যায়ে যে চেকিং হয় তাতে তাদের কাছে থাকা ঐ সকল মোবাইল ধরা পড়েনি। কেননা তারা কেউ মোবাইল জুতোর মধ্যে ভরে এনেছিল, কেউ আবার মোবাইল এনেছিল হিল চটির নিচের অংশ কেটে খুব সুন্দরভাবে সেটিং করে। কেউ কেউ আবার মোবাইল লুকিয়ে রেখেছিল শরীরের গোপন জায়গায়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো প্রত্যেকের কাছে থাকা ফোনগুলি সব ফিচার ফোন।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুজয় কুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মালদা জেলা থেকে আসা পরীক্ষার্থীদের অধিকাংশই ছিলেন মহিলা পরীক্ষার্থী। এই সকল পরীক্ষার্থীরা প্রথম দফায় পরীক্ষা কেন্দ্রে ঢোকার সময় এই ধরনের কোন ফোন অন্য কিছু নিয়ে এসেছেন কিনা ধরা পড়েন নি। পরে স্কুলের এক শিক্ষক বুঝতে পারেন কিছু একটা হচ্ছে। আর তখনই দায়িত্বে থাকা মহিলা কনস্টেবলকে ডাকা হলে ১০ থেকে ১২টি কিপ্যাড ফোন উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন ? Flood in Birbhum: ভেঙ্গে গেল কুয়ে নদীর বাঁধ, হু হু করে জল ঢুকছে গ্রামে, বন্যা বীরভূমে
সিউড়ি বেনীমাধব ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুজয় কুমার চট্টোপাধ্যায়ের দাবি অনুযায়ী, কেবলমাত্র মালদা জেলা থেকে যে সকল পরীক্ষার্থীরা এসেছিলেন তাদের থেকেই এমন কিপ্যাড ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এমনকি তিনি এটাও দাবি করেছেন, তাদের স্কুল থেকে ১২টি কিপ্যাড ফোন উদ্ধার হয়েছে, অন্যান্য পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে খোঁজখবর নিলে এই ধরনের ঘটনা আরও চোখে আসতে পারে।
এমন ঘটনার পর রীতিমত ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে শোরগোল পড়ে যায়। যদিও অন্যান্যদের পরীক্ষা যথারীতি হয়েছে। মোটের উপর এদিনের এই ঘটনায় ১২টি এইরকম মোবাইল উদ্ধার করেছেন সিউড়ি বেণীমাধব ইনস্টিটিউশনের পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা শিক্ষক-শিক্ষিকারা ও পরীক্ষা কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা পুলিশ কর্মীরা।