নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের বৃহত্তম তিন বেসরকারি টেলিকম সংস্থা জুলাই মাসে গ্রাহকদের বড় ধাক্কা দিয়েছে। যে ধাক্কা হাড়ে হাড়ে টের পেতে হচ্ছে দেশের মোবাইল ব্যবহারকারীদের। মূলত মোবাইল রিচার্জের দাম এক ধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেওয়ার কারণেই গ্রাহকদের এমন সমস্যার মুখে পড়তে হচ্ছে। তবে এবার রিচার্জের দাম বাড়ানোর পাল্টা নয়া নির্দেশিকা (Trai New Rules) জারি করল TRAI। ঠিক যেন বদলা নেওয়ার মতো।
বেসরকারি তিন টেলিকম সংস্থা তাদের মোবাইল রিচার্জ প্ল্যানগুলির দাম বাড়িয়ে দেওয়ার ফলে যেমন গ্রাহকদের খরচ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে, ঠিক সেই রকমই ট্রাই যে নতুন নির্দেশিকা জারি করেছে সেই নির্দেশিকা অনুযায়ী, একটু এদিক ওদিক হলেই লক্ষ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে টেলিকম সংস্থাগুলিকে। মূলত গ্রাহকদের সুবিধা এবং পরিষেবাকে আরো উন্নত করার জন্য এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
ট্রাইয়ের তরফ থেকে নতুন এই নির্দেশিকা জারি করার পর এবার পরিষেবার গুণগতমান উন্নত না হলেই টেলিকম সংস্থাগুলিকে জরিমানা দিতে হবে। গুণগত মানের ক্ষেত্রে যে সূচক নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে সেই সূচক পূরণ না হলে ন্যূনতম ১ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে। আগেও এমন জরিমানা ছিল, তবে সেই জরিমানার পরিমাণ ছিল ৫০ হাজার টাকা। এখন তা বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গেল।
আরও পড়ুন ? BMW Electric Scooter: স্কুটার তো নয় যেন আরও অনেককিছু, ভারতে এখন চলছে BMW-র প্রথম ইলেকট্রিক স্কুটার
এখানেই শেষ নয়, এর পাশাপাশি ট্রাইয়ের তরফ থেকে যে সকল বিধি জারি করা হয়ে থাকে, সেই সকল বিধি অমান্য করলে এবার টেলিকম সংস্থাগুলিকে জরিমানা সহ ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গুনতে হবে। এই সকল জরিমানার পাশাপাশি এবার নেটওয়ার্ক ফেলিওর অর্থাৎ নেটওয়ার্ক না থাকা অথবা কল ড্রপের মত ঘটনায় ক্ষতিপূরণ দিতে হবে গ্রাহকদের। সম্প্রতি ট্রাইয়ের তরফ থেকে যে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে তাতে এই ধরনের ক্ষতিপূরণের উল্লেখ করা হয়েছে।
যদি জেলা ভিত্তিক কোন জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়া ২৪ ঘন্টা বা তার বেশি নেটওয়ার্ক না থাকে তাহলে প্রিপেইড গ্রাহকদের ভ্যালিডিটি বাড়িয়ে টেলিকম সংস্থাগুলিকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। একইভাবে যে সকল পোস্টপেইড গ্রাহকরা রয়েছেন তাদের বিলের উপর ছাড় দিতে হবে। যদি ১২ ঘন্টার বেশি নেটওয়ার্ক না থাকে তাহলেও এই ধরনের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ক্ষেত্রে পোস্টপেইড গ্রাহকদের বিলের ওপর ডিসকাউন্ট উল্লেখ করে দিতে হবে।