নিজস্ব প্রতিবেদন : লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন ট্রেনের ওপর ভর করে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে থাকেন। এই সকল যাত্রীদের এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করার ক্ষেত্রে সবসময় বাধ্যতামূলকভাবে থাকতে হয় বৈধ টিকিট। এখনো পর্যন্ত দেশের বড় সংখ্যার যাত্রীরা বৈধ টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে স্টেশনের কাউন্টার (Counter Train Tickets) ব্যবহার করে থাকেন। এবার এই ধরনের টিকিটের ক্ষেত্রেই বদল আনল রেল।
রেলের তরফ থেকে এমনিতে সংরক্ষিত হোক অথবা অসংরক্ষিত, সব ধরনের টিকিট যাতে যাত্রীরা অনলাইনে পান তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য রয়েছে আইআরসিটিসি অথবা ইউটিএস অ্যাপ। তবে বড় সংখ্যার যাত্রীরা যেহেতু ট্রেনের টিকিট স্টেশন কাউন্টার থেকেই বুকিং করে থাকেন তাই তাদের টিকিট বুকিংয়ের ক্ষেত্রে বদল আনা অত্যন্ত জরুরি ছিল। আর সেই চাহিদা অনুযায়ী বদল আনা হয়েছে।
রেলের তরফ থেকে এখন দেশের অধিকাংশ টিকিট কাউন্টারে টিকিট বুকিং করার ক্ষেত্রে পেমেন্ট করার সময় কিউআর কোড ব্যবহার করা হচ্ছে। যে কিউআর কোড স্ক্যান করে যাত্রীরা তাদের টিকিট সহজেই হাতে পাচ্ছেন। মূলত টিকিট বুকিং করার পর সহজেই পেমেন্ট করার জন্য ওই কিউআর কোড ব্যবস্থা করা হয়েছে রেলের তরফ থেকে। এর ফলে পেমেন্ট করার জন্য টাকা দেওয়া, রিটার্ন নেওয়া, খুচরো ইত্যাদির ঝামেলা থাকছে না।
আরও পড়ুন ? Hydrogen Train: চলতি বছরেই হবে প্রথম হাইড্রোজেন ট্রেনের স্বপ্নপূরণ, তবে বাংলা নয়, চলবে অন্য এক রুটে
রেলের তরফ থেকে এখন দেশের বড় বড় অধিকাংশ স্টেশনে ইউপিআই মারফত টিকিটের দাম দেওয়ার জন্য এমন কিউআর কোড বন্দোবস্ত করা হয়েছে। এই বন্দোবস্ত করার ফলে যাত্রীদের টিকিটের জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে না। যাত্রীরা টিকিট কাউন্টারে থাকা রেল কর্মীকে তাদের গন্তব্যের টিকিট সম্পর্কে জানানোর পরই টিকিট কাউন্টারের সামনে থাকা কিউআর কোড ভেসে উঠছে আর সেই কিউআর কোড স্ক্যান করে পেমেন্ট করলেই হাতে পাওয়া যাচ্ছে টিকিট।
এমনিতেই দেশজুড়ে এখন ইউপিআই ব্যবস্থা অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। দেশে যে সকল স্মার্টফোন ব্যবহারকারী রয়েছেন তাদের বড় সংখ্যার স্মার্টফোন ব্যবহারকারীরা এখন ইউপিআই পরিষেবা ব্যবহার করে থাকেন। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই ইউপিআই মারফত এমন লেনদেন হওয়ার ফলে সহজেই টিকিটের দাম দিয়ে দিতে পারবেন যাত্রীরা। সহজেই যাত্রীরা পাবেন তাদের টিকিট। হলে জেনারেল টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে এখন যাত্রীদের অনেকটাই হয়রানি কমে যাবে।