নিজস্ব প্রতিবেদন : রান্নার গ্যাস (Cooking Gas) এখন প্রত্যেক বাড়িতে বাড়িতে অত্যাবস্যকীয় একটি জিনিসে পরিণত হয়েছে। কেননা রান্নার গ্যাস ছাড়া এখন অধিকাংশ বাড়িতেই ভাতের হাঁড়ি চাপবে না। তবে এখন বাড়িতে বাড়িতে যে ধরনের গ্যাস ব্যবহার করা হয় তা হলো এলপিজি (LPG), যেগুলি সিলিন্ডারে ভর্তি হয়ে আসে।
সিলিন্ডারে ভর্তি হয়ে আসা এলপিজির দাম নিয়ে বিভিন্ন সময় গ্রাহকদের মধ্যে নানান অভিযোগ শোনা যায়। কোন কোন সময় দাম এতটাই বেড়ে যায় যে তা কেনা সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্তদের থেকে শুরু করে নিম্নবিত্তদের কাছে অনেক কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। তবে এবার দামি এলপিজি অর্থাৎ সিলিন্ডার ভর্তি রান্নার গ্যাসের দিন শেষ হতে চলেছে, আর বেশি দাম দিয়ে কিনতে হবে না সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস, কেননা এবার আসছে পাইপলাইন গ্যাস (PNG) কানেকশন। কবে থেকে এই ধরনের রান্নার গ্যাস কানেকশন পাওয়া যাবে তা এবার জানা গেল।
পাইপ লাইনের মাধ্যমে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রান্নার গ্যাস কানেকশন পৌঁছে দেওয়ার জন্য কাজ চালাচ্ছে দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা GAIL। এই সংস্থা যে কাজ চালাচ্ছে সেই কাজ অনুযায়ী নদীয়ার গয়েশপুর থেকে কলকাতার উপকন্ঠ পর্যন্ত পাইপ লাইন পাতার কাজ প্রায় শেষের দিকে। যেটুকু কাজ বাকি আছে তা আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে যে সকল জায়গায় পাইপলাইন পাতার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয়েছে সেই সকল সমস্যাও এখন মিটে যাচ্ছে দ্রুততার সঙ্গে।
মূলত দিন কয়েক আগেই নবান্নে রাজ্যের মুখ্য সচিবের সঙ্গে বৈঠক হয় গেইল সংস্থার আধিকারিকদের। এই বৈঠকের পর গলসিতে পাইপলাইন পাতা সংক্রান্ত সমস্যা ছিল তা দূর হয়ে গিয়েছে। অক্টোবরের পর সব সমস্যা সমাধান করে নদীয়ার গয়েশপুর থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত পাইপ লাইন চলে আসবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২৫ সালের মার্চ মাসের মধ্যে ২৫ হাজার রান্নার গ্যাস কানেকশন দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে।
সিলিন্ডার ভর্তি রান্নার গ্যাস আর পাইপলাইনের মাধ্যমে রান্নার গ্যাসের ক্ষেত্রে সুযোগ-সুবিধায় অনেক ফারাক রয়েছে। প্রথম ফারাক হলো, সিলিন্ডারের মাধ্যমে আসা এলপিজির থেকে পাইপ লাইনের মাধ্যমে আসা পিএনজি সস্তা। এছাড়াও কষ্ট করে সিলিন্ডার গ্রহণ করার মত পরিশ্রম করতে হবে না। পাশাপাশি দুর্ঘটনা সহ বিভিন্ন ধরনের পরিস্থিতিতে পিএনজি অনেকটাই বেশী সুরক্ষিত। পাশাপাশি এলপিজি নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথমেই গ্রাহকদের এক ধাক্কায় গোটা সিলিন্ডারের দাম দিয়ে সিলিন্ডার ভর্তি গ্যাস আনতে হয়, পিএনজির ক্ষেত্রে মাসে যেমন খরচ হবে সেই রকম বিল মেটাতে হবে।