নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘ দু’মাস ধরে অশান্ত বাংলাদেশের হাসিনা সরকারের পতন হল ৫ আগস্ট সোমবার। এদিন শেখ হাসিনা সেনাপ্রধান ও রাষ্ট্রপতির সঙ্গে বৈঠক করার পরই পদত্যাগ করে নিরাপদ জায়গায় আশ্রয়ের জন্য দেশ ছাড়েন। শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার পরই সাংবাদিক বৈঠক করে বাংলাদেশের রাশ একপ্রকার নিজের হাতে তুলে নেন ওয়াকার উজ জামান (Waker uz Zaman)। সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান বাংলাদেশের রাশ নিজের হাতে তুলে নেওয়ার পর তাকে নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে কৌতূহলের শেষ নেই। শুধু বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ অথবা ভারত নয়, গোটা বিশ্বজুড়ে এখন কৌতুহল কে এই ওয়াকার উজ জামান?
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ডাক দেওয়া সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান ২০২৪ সালের জুন মাসে তিন বছরের জন্য বাংলাদেশের সেনাপ্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন। তিনি দীর্ঘ ৩৯ বছর ধরে সেনাবাহিনীর সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। ব্যক্তিগত জীবন বলতে তিনি দুই কন্যা সন্তানের বাবা। বাংলাদেশের সেনাপ্রধান বিভিন্ন পদক এবং সম্মানে ভূষিত হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের দায়িত্ব সামলেছেন।
ওয়াকার উজ জামান সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ, মীরপুর ও যুক্তরাজ্যের জয়েন্ট সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ থেকে স্নাতক হয়েছিলেন। এর পাশাপাশি মাস্টার্স অফ আর্টস ইন ডিফেন্স স্টাডিস নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ ও ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডন থেকে। মাস্টার্স অফ ডিফেন্স স্টাডিজ করেছিলেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।
আরও পড়ুন ? Bangladesh Video: হাসিনা সরকারের পতনে হাসিনার বেডরুমে ঢুকে উল্লাস, কেউ খেলেন চিকেনের ঠ্যাং, কেউ আম
বাংলাদেশের রাশ হাতে থাকা সেনাপ্রধান ওয়াকার উজ জামান জেনারেল অফিসার কমান্ডিং, সাভার এরিয়ার এরিয়া কমান্ডার, সেনা সদরে সামরিক সচিব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অফ জেনারেল স্টাফ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল স্টাফ সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন। এছাড়াও সেনায় নিয়োগ থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ দেওয়া ইত্যাদির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে থাকেন।
দেশের মাটি ছাড়াও বিদেশেও তিনি দায়িত্ব সামলেছেন। জাতিসংঘে মিলিটারি অবজারভার হিসাবে অ্যাঙ্গোলা, সিনিয়র অফিসার অফিসার হিসাবে লাইবেরিয়াতে দায়িত্ব সামলেছেন। এমন একজন সেনাপ্রধানের হাতে রয়েছে বেশ কিছু পদক ও সম্মান। ২০১৪ সাল থেকে টানা তিন বছর বিজয় দিবসের প্যারেডের প্যারেড কমান্ডার হিসাবে সফলভাবে দায়িত্ব পালনের জন্য তাকে সেনা গৌরব পদক দেওয়া হয়। এর পাশাপাশি তার কাছে রয়েছে অসামান্য সেবা পদক।