মাধব দাস: চুরি করতে এসে চোর দোকান অথবা বাড়ি থেকে জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে পালাবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এবার বীরভূমে (Birbhum News) চোরের এমন এক বাটপারি দেখা গেল যা রীতিমতো অবাক করেছে দোকানদারকে। যে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ দেখে মন খারাপের পাশাপাশি হেসে মরছেন দোকানদার কেষ্ট।
এমন অবাক করা চুরির ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত নেতাজী মার্কেটের সামনে একটি চা ও টিফিন করার দোকানে। ওই দোকানের মালিকের নাম কৃষ্ণ গোপাল দাস, যদিও চেনা পরিচিতরা তাকে কেষ্ট দা বলেই ডাকেন। তার দোকানে পরপর দুদিন এমন চুরির ঘটনা ঘটে। প্রথম দিনের ঘটনায় তিনি কষ্ট পেলেও দ্বিতীয় দিনের ঘটনা দেখে রীতিমতো হাসাহাসি করছেন।
২ আগস্ট অর্থাৎ শুক্রবার প্রথম তার দোকানে অল্পবয়সী এক চোর হানা দেয়। দোকানের তালা ভেঙে দোকানে ঢোকার পর প্রায় ২০ প্যাকেট সিগারেট, ৮ প্যাকেট বিস্কুট এবং খুচরো এক দেড় হাজার টাকা মতো সরিয়ে রাখেন নিয়ে যাওয়ার জন্য। রাত রাত ১২টা, সাড়ে ১২টা থেকে এমন অপারেশন শুরু হয়। মাঝরাতে হঠাৎ দেখা যায় ওই চোর হয়তো কোথাও ঘুমিয়ে গিয়েছিলেন এবং ভোর নাগাদ তড়িঘড়ি সেগুলি ব্যাগে ভরে নিয়ে পালান।
প্রথম দিনের ঘটনার পর আবার রবিবার রাতে ওই দোকানেই হানা দেয় ওই চোর। কিন্তু দ্বিতীয় দিন সেখানে কিছু না পেয়ে দোকানের মধ্যে খেলা শুরু করে। ইতিমধ্যে কয়েকজন গাড়িচালক ওই দোকান রাত্রিবেলায় খোলা দেখে সেখানে খেতে আসেন। গাড়ি চালকরা ওই চোরকে জিজ্ঞেস করেন এত রাতে দোকান খোলা কেন? তখন ওই চোর উত্তর দেয়, এটা তাদেরই দোকান আর সে রাতের বেলায় থাকে সকালবেলায় চলে যায়। পরে গাড়িচালকদের চাওয়া পাওয়া অনুযায়ী তাদের ডিম ভাজা, সিগারেট ইত্যাদি খাইয়ে টাকা নেয়। আবার নিজেও চেয়ারে বসে আমেজ করে ডিম ভাজা খায়।
পরে সিসিটিভি ক্যামেরা ঘেঁটে এই সকল ঘটনা দেখার পর রীতিমতো অবাক হয়ে যান সকলে। অন্যদিকে যে গাড়ি চালকরা ঐদিন রাতে খেয়েছিলেন তারা জানান, ছেলেটির বয়স বড়জোড় ১৪ থেকে ১৫ বছর। ও এটা তার চাচার দোকান বলে দাবি করেছিল। পরপর দুদিন কেষ্ট দার দোকানে এমন ঘটনার পর অবশেষে কেষ্ট যার বোলপুর থানায় যান এবং সেখানে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।