শ্যামলি দাস: বাংলাদেশ অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার পর থেকেই কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশী টাকার দাম। হাসিনা সরকারের পতনের পর মূলত ডলারের তুলনায় ধীরে ধীরে বাংলাদেশী মুদ্রার দাম পড়তে থাকার কারণে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এখন ভারতীয় মুদ্রার পরিবর্তে বাংলাদেশের টাকা (INR to BDT) অনেক বেশি পাওয়া যাচ্ছে, যা বাংলাদেশীদের জন্য কিন্তু অনেকটাই খারাপ খবর।
গুগলে বাংলাদেশি টাকার পরিবর্তে কত পরিমাণ ভারতীয় মুদ্রা পাওয়া যাবে তা সার্চ করলে দেখা যাচ্ছে, ভারতীয় মুদ্রা ১ টাকায় বাংলাদেশী মুদ্রা ১.৪০ রয়েছে। হিসেব অনুযায়ী যদি কেউ ভারতের ১০০ টাকা নিয়ে বাংলাদেশী মুদ্রা নিতে চান তাহলে প্রায় ১৪০ বাংলাদেশি টাকা পাবেন। তবে বাস্তবের ক্ষেত্রে কিন্তু এর থেকেও খারাপ পরিস্থিতি বাংলাদেশি মুদ্রার। বাস্তবে ঠিক কতটা পাওয়া যাচ্ছে চলুন দেখে নেওয়া যাক।
পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে রয়েছে মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবস্থা। এখানেই বাস্তবের ছবি ধরা পড়েছে। আর এই বাস্তবের ছবি ধরা পড়তেই সবচেয়ে বেশি চিন্তা বেড়েছে ব্যবসায়ীদের। চিন্তা বেড়েছে ভারতীয় ব্যবসায়ীদেরও। কেননা যে সকল ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে জিনিসপত্র রপ্তানি করে আসছেন তারা এই পেট্রাপোল সীমান্তের মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টারে গিয়ে বাংলাদেশি টাকার বদলে অনেকটাই কম পাচ্ছেন ভারতীয় মুদ্রা।
আরও পড়ুন ? নতুন ফোন কিনছেন? চেক করুন ৫ জিনিস, না হলে পড়বে মাথায় হাত
দিন কয়েক আগে পর্যন্ত বাংলাদেশী ১০০ টাকার পরিবর্তে উত্তর ২৪ পরগনার পেট্রাপোল সীমান্তে থাকা সমস্ত মানি এক্সচেঞ্জে ৭১ টাকা দেওয়া হতো। কিন্তু সোমবার হাসিনা সরকারের পতনের পর মঙ্গলবার ওই সকল কাউন্টার থেকেই বাংলাদেশী ১০০ টাকার পরিবর্তে পাওয়া যাচ্ছে ভারতের ৬৫ টাকা। হিসেব অনুযায়ী গত কয়েক দিনের তুলনায় প্রতি বাংলাদেশী ১০০ টাকায় ভারতীয় মুদ্রার হিসেব অনুযায়ী ৬ টাকা করে ক্ষতি হচ্ছে। হাজার হাজার টাকার ক্ষেত্রে এই অংকটা অনেক বেশি।
এবার উল্টো দিক অর্থাৎ যদি কেউ ভারতের ১০০ টাকা নিয়ে পেট্রোপোল সীমান্তের ওই সকল মানি এক্সচেঞ্জে বাংলাদেশী টাকা নিতে যাচ্ছেন, তাহলে এখন তারা পাচ্ছেন ১৪৫ বাংলাদেশী টাকা। দিন কয়েক আগেই যা ছিল বাংলাদেশী ১৩৭ টাকা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বাংলাদেশী টাকার দাম আরও কমতে পারে। আর এই আশঙ্কার কথা ভেবেই বহু মানুষ যারা বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে লেনদেন করে থাকেন তারা বাংলাদেশী মুদ্রা ছেড়ে দিতে চাইছেন।