নিজস্ব প্রতিবেদন : এখনকার দিনে রাস্তাঘাটে মানুষ বের হলেই যানবাহন নিয়ে বের হন। অধিকাংশ মানুষই দু’চাকার যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করে থাকেন, আবার অনেকেই রয়েছেন যারা চার চাকার বাহন ছাড়া রাস্তায় বের হন না। তবে যে বাহন নিয়েই রাস্তায় বের হন না কেন, ট্রাফিক নিয়ম না মানলে চালান কাটবে পুলিশ। তবে ট্রাফিক পুলিশের কাটা এই চালানের জরিমানা থেকেও মিলতে পারে মুক্তি (Traffic Challan Relief)।
বহু সময় দেখা যায়, যানবাহন চালকরা সব নিয়ম ঠিকঠাক মেনে চললেও তাদের অজান্তেই ট্রাফিক পুলিশের তরফ থেকে তাদের বিরুদ্ধে চালান কাটা হয়। এই ধরনের ঘটনায় স্বাভাবিকভাবে অবাক হতে হয় ওই গাড়ি বা বাইক, স্কুটি চালককে। আর এই ধরনের ঘটনায় কোনরকম জরিমানা না দিয়েই মুক্তি মিলতে পারে। তবে আপনি যদি নিয়ম ভঙ্গ করে থাকেন তাহলে কোনভাবেই রেহাই মিলবে না।
যে পদ্ধতিতে এই ধরনের চালানের জরিমানা দেওয়া থেকে বাঁচা যেতে পারে সেই পদ্ধতি হলো লোক আদালত। পুরাতন যে সকল মামলা দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে, স্থগিত মামলা, ঝামেলা ঝঞ্ঝাট সহ বিভিন্ন ধরনের মামলা যেগুলি দীর্ঘদিন ধরে পড়ে রয়েছে সেগুলি নিমেষে মিটিয়ে ফেলা হয় লোক আদালতে। লোক আদালতের শুনানির দিন ঠিক করা হয় ন্যাশনাল লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির মাধ্যমে।
বছরের পর বছর ধরে আটকে থাকা বিভিন্ন মামলা লোক আদালতে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যে রায় দিয়ে সমাধান করে দেওয়া হয়। আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর লোক আদালতের পরবর্তী শুনানির দিন রয়েছে। যেদিন আপনি বিভিন্ন মামলার দ্রুত রায় পেতে এবং এমন অযুক্তিপূর্ণ ট্রাফিক চালানের জরিমানার হাত থেকে বাঁচতে আদালতে গিয়ে লোক আদালতে আবেদন জানাতে পারবেন। আবেদন জানানোর আগে চালান সংক্রান্ত সমস্ত নথি জমা করতে হবে এবং এই সংক্রান্ত পুলিশি নোটিশ অথবা বার্তালাপের প্রমাণ জমা করতে হবে।
লোক আদালতে ট্রাফিক হেল্প ডেস্ক রয়েছে সেখানে গিয়ে আপনার গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নম্বর দিলেই আপনি জেনে নিতে পারবেন আপনার গাড়ির বিরুদ্ধে কোন কোন অমীমাংসিত চালান রয়েছে। লোক আদালতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিতে হবে এবং যে সময় দেওয়া হবে সেই নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পৌঁছাতে হবে। তবে মনে রাখতে হবে, লোক আদালতে যাওয়ার মানেই জরিমানার অংক সম্পূর্ণ মুকুব হয়ে যাবে এমন নয়।