নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশে যে সকল বন্দে ভারত এক্সপ্রেস (Vande Bharat Express) ট্রেন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যাতায়াত করে তাদের মধ্যে অন্যতম একটি হলো হাওড়া ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাতায়াত করা ট্রেনটি। এই ট্রেনটির জনপ্রিয়তা এতটাই যে পূর্ব রেল এমন একটি প্রিমিয়াম ট্রেন থেকে কোটি কোটি টাকা মুনাফা অর্জন করে থাকে। কিন্তু সম্প্রতি এই ট্রেনটির অবস্থা দেখলে রীতিমতো কান্না পাবে।
দিন কয়েক আগে পর্যন্ত হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি হোক অথবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়াগামী বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনটিতে টিকিট পেতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছিল। ট্রেনটির চাহিদা (Vande Bharat Express Demand) এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে মাস তিনেক আগে টিকিট বুক না করলে টিকিট পেতে হিমসিম খেতে হচ্ছিল। কিন্তু এখন এই ট্রেনটি একগাদা সিট ফাঁকা নিয়েই গন্তব্যের দিকে দৌড়াচ্ছে।
আইআরসিটিসি অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি হোক অথবা নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে গুচ্ছেক সিট ফাঁকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনে ১১২৮ জন টিকিট পেয়ে থাকেন। কিন্তু আগামী কয়েকদিনের দিকে লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, এখনো পর্যন্ত ট্রেনটিতে অধিকাংশ দিনই ৪০০-র বেশি সিট ফাঁকা রয়েছে। কেবলমাত্র হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ি যাওয়ার জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যে ১৫ আগস্ট ওয়েটিং লিস্ট লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন ? Vande Bharat Express: নিউ জলপাইগুড়ি-হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস দু’ঘন্টা লেট, দেখে নিন আজ কখন ছাড়বে
আবার যদি নিউ জলপাইগুড়ি থেকে হাওড়া বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের দিকে তাকানো যায় তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপই নজরে আসছে। কেননা ১০ ও ১১ আগস্ট ২০০-র বেশি সিট ফাঁকা রয়েছে। আবার ১২ আগস্ট থেকে ৬০০-র বেশি সিট ফাঁকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এসব দেখে অনেকের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনের চাহিদা পড়ে গেল?
এই ট্রেনটির চাহিদা পড়ে গেল কিনা তা এইসব দেখে মোটেই বলা সম্ভব নয়। কেননা হাওড়া ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে যাতায়াত করা সমস্ত ট্রেনের অধিকাংশই মূলত নির্ভর করে পর্যটকদের উপর। এক্ষেত্রে এখন স্কুল, কলেজ, অফিস কাছারি সব খোলা রয়েছে, এছাড়াও উত্তরবঙ্গে প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই রয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই উত্তরবঙ্গ ঘুরতে যাওয়ার হিড়িক এখন নেই বললেই চলে। তবে আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ফের এই বন্দে ভারতের টিকিট পেতে সাধারণ যাত্রীদের হিমশিম খেতে হবে বলেই আশা করা হচ্ছে।