LPG Cylinder: রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, বিপত্তি বাড়বে এই শ্রেণীর নাগরিকদের

Prosun Kanti Das

Published on:

Advertisements

LPG Cylinder: এই মুহূর্তে রান্নার কাজের জন্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয় এলপিজি গ্যাস সিলিন্ডার (LPG Cylinder)। গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে একাধিক জালিয়াতির খবরও সামনে আসে। এই সমস্ত জালিয়াতি রূখতে কেন্দ্রীয় সরকার নিল নতুন পদক্ষেপ। রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত, বিপত্তি বাড়বে এই শ্রেণীর নাগরিকদের। ইতিমধ্যে শুরু করে দেওয়া হয়েছে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া। প্রায় ৮ মাস ধরে চলছে উপভোক্তাদের গ্যাস কানেকশনের সাথে বায়োমেট্রিক যুক্ত করার কাজ। এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গ্যাস কানেকশন সংক্রান্ত একাধিক জালিয়াতি আটকে দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements

গ্যাস সংক্রান্ত যে সমস্ত জালিয়াতির খবর সামনে আসে তার মধ্যে অন্যতম হলো ঘরের জন্য নির্দিষ্ট গ্যাস সিলিন্ডারটিকে (LPG Cylinder) বাজারে দোকানের কাজে ব্যবহার করা। বিষয়টি ঠিক পরিষ্কার হলো না তাইতো? গ্যাস সিলিন্ডার নেবার ক্ষেত্রে ২ ধরনের কানেকশনের প্রচলন রয়েছে। একটি ডোমেস্টিক অর্থাৎ ঘরে ব্যবহৃত কানেকশন। অপরটি কমার্শিয়াল অর্থাৎ বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহৃত কানেকশন। দুটি ক্ষেত্রে ব্যবহৃত সিলিন্ডারগুলির মধ্যে আকার, আয়তন, ওজন সব কিছুরই পার্থক্য রয়েছে। দুটি কানেকশন একেবারেই আলাদা। বাড়িতে ব্যবহৃত সিলিন্ডারের দামের তুলনায় দোকানে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট সিলিন্ডারের দাম অনেকটাই বেশি। আর সেই কারণেই বাড়িতে ব্যবহৃত সিলিন্ডারই রাস্তার ধারে রোল চাওমিনের দোকান থেকে শুরু করে বড় বড় হোটেল রেস্তোরা সব জায়গাতেই ব্যবহার করা হচ্ছে। এই নিয়ে বহুদিন ধরেই অভিযোগ আসছিল বারবার।

Advertisements

একজন ভর্তুকি প্রাপ্ত উপভোক্তার গ্যাসকানেকশনের সাথে যুক্ত রয়েছে তার আধার কার্ড। সেই সমস্ত উপভোক্তার আধার কার্ড ও বায়োমেট্রিক গ্যাস কানেকশনের সাথে যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়াকরণের মধ্য দিয়ে গ্রাহক সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য চলে আসবে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রীর কাছে। ফলে সেই গ্রাহকের ভর্তুকিযুক্ত গ্যাস সিলিন্ডারটি (LPG Cylinder) কোথায়, কিভাবে, কার দ্বারা ব্যবহার করা হচ্ছে এই সমস্ত তথ্য জানতে অনেক সুবিধা হবে সরকারের। ফলে কোনরকম জালিয়াতির ঘটনা ঘটলে তা অচিরেই রুখে দেওয়া সম্ভব হবে সরকারের পক্ষে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Tata Group: আর চলবে না আম্বানি-আদানির এক তরফা রাজত্ব! এবার কড়া চ্যালেঞ্জ দিতে হাজির টাটা

তবে এই নিয়ম শুধুমাত্র ভর্তুকি প্রাপ্ত উপভোক্তাদের জন্যই প্রযোজ্য। যারা ভর্তুকি পান না অথবা ছেড়ে দিয়েছেন তাদের বায়োমেট্রিক তথ্য না দিলেও চলবে। তবে সে ক্ষেত্রে ভর্তুকি সংক্রান্ত গিভ আপ ফর্ম ফিলাপ করে তা উপভোক্তাদেরকে জানানোর দায়িত্ব থাকবে ডিস্ট্রিবিউটরদের উপর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গ্যাস সিলিন্ডার সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম জালিয়াতি রুখতে কেন্দ্রের এই বড় পদক্ষেপে। নড়েচড়ে বসেছে সমস্ত ডিস্ট্রিবিউটররাও। বায়োমেট্রিক বাধ্যতামূলক ঘোষণা হবার পর থেকেই ডিস্ট্রিবিউটরের পক্ষ থেকে দায়িত্ব নিয়ে উপভোক্তাদের ডেকে আনা হচ্ছে বায়োমেট্রিক করানোর জন্য। সম্পূর্ণ বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া চলছে ডিস্ট্রিবিউটরদের মাধ্যমে। এই বিষয়ে রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন ভুয়ো উপভোক্তাদের খুঁজে বের করে তাদের বাতিল করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে চালু করা হয়েছে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া। যাতে এলপিজির আসল উপভোক্তারা নিজেদের সিলিন্ডারটি (LPG Cylinder) যথাযথভাবে ব্যবহার করা এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধা ভোগ করা থেকে কোনভাবেই বঞ্চিত না হন।

এছাড়া গৃহে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট গ্যাস সিলিন্ডারটিকে কোনোভাবেই যাতে বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে ব্যবহার করা না যায় সেই বিষয়েও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হবে বায়োমেট্রিক এর মাধ্যমে। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে বায়োমেট্রিক প্রক্রিয়া চলার পর কোন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে যদি ডোমেস্টিক এলপিজি সিলিন্ডার (LPG Cylinder) ব্যবহার করতে দেখা যায়, তাহলে সেই ডিস্ট্রিবিউটরের নামে বড় পদক্ষেপ নিতে পারে পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী। এমনকি ডিস্ট্রিবিউটরের লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। তবে এই কাজ করতে গিয়ে প্রথম দিকে সাধারণ মানুষ বেশ কিছুটা হয়রানির শিকার হয়েছিল। এখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্ভব হয়েছে। বায়োমেট্রিক সংযুক্তকরণের নির্দিষ্ট দিনসীমা তুলে দেওয়া হয়েছে। যখন খুশি এই কাজ করা যাবে তবে গ্রাহককে ডিস্ট্রিবিউটরের সাথে অবশ্যই যোগাযোগ করতে হবে বায়োমেট্রিক করার জন্য। তেল বিপণনী কোম্পানীগুলির নির্দিষ্ট অ্যাপ থেকেও কাজটি ঘরে বসে করতে পারেন।

Advertisements