বাংলা এক্সপি ডেস্ক: রেশন ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন করে কিছু বলার নেই। আবার এটিএম সম্পর্কেও নতুন করে কিছু বলার নেই। এই দুটি বিষয় সম্পর্কেই অধিকাংশ মানুষেরই জ্ঞান রয়েছে। কিন্তু নতুন করে অবশ্যই বলার যা তা হল রেশন এটিএম (Ration ATM)। এমন নতুন জিনিসই এবার ভারতে চালু হল। দেশের একটি রাজ্যে প্রথম রেশন এটিএম চালু হয়েছে।
রেশন বলতে আমরা যা বুঝি তা হল সরকারি ভর্তুকি অথবা সরকার প্রদত্ত বিনামূল্যে খাদ্য সামগ্রী আর এটিএম বলতে আমরা বুঝি, যা থেকে নগদ টাকা বের হয়। যদিও এখন এটিএম-এর সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে। এখন বিভিন্ন জায়গায় পানীয় জলের এটিএম থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর এটিএম শুরু হয়েছে। ঠিক সেই রকমই শুরু হল রেশন এটিএম (Ration ATM)।
এমনিতে রেশনে খাদ্য সামগ্রী নিতে গেলে হয় পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম অর্থাৎ পিডিএস-এর সামনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়, দুয়ারে রেশনের মতো কর্মসূচি চালু হলেও সেখানেও লম্বা লাইন দেখা যায়। কিন্তু এবার আর এই সকল ঝামেলা থাকবে না। কেননা যে রেশন এটিএম চালু হয়েছে, সেই রেশন এটিএম কাউন্টারে এসে মেশিনে থাকা টাচ স্ক্রিন ডিসপ্লেতে নিজেদের রেশন কার্ড নম্বর দিতে হবে এবং তারপর বায়োমেট্রিকের মাধ্যমে যাচাইকরণ হয়ে গেলেই মিলবে খাদ্য সামগ্রী। ২৫ কেজি পর্যন্ত চাল সংগ্রহ করা যাবে এই ধরনের কাউন্টার থেকে।
এই ধরনের এটিএম কাউন্টার থেকে ৭ দিন ২৪ ঘন্টা পরিষেবা পাওয়া যাবে। যে কারণে কোন দিন দোকান বন্ধ রয়েছে বা খোলা রয়েছে এসবের পিছনে দৌড়াতে হবে না। এছাড়াও এই ধরনের ব্যবস্থা চালু হওয়ার ফলে রেশনের খাদ্য সামগ্রীর ওজনের ক্ষেত্রে যে কারচুপির অভিযোগ ওঠে তাও আর থাকবে না। ফলে এমন ব্যবস্থাই এক ঢিলে একাধিক পাখি মারার মতো বন্দোবস্তের সূচনা হয়ে গেল। তবে মনে রাখতে হবে এই ধরনের রেশন এটিএম কিন্তু দেশের সমস্ত জায়গায় এখনো চালু হয়নি।
দেশে প্রথম এমন ব্যবস্থা চালু হলো ওড়িশায়। সেখানে খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের তরফ থেকে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। দেশের প্রথম এমন রেশন এটিএমটি বসেছে ওড়িশার মঞ্চেশ্বরে। এই এটিএম কাউন্টার থেকে চাল, গম সংগ্রহ করা অনেকটা টাকা তোলার মতই। যে কারণে এই ব্যবস্থা ব্যবহার করতেও সাধারণ মানুষদের খুব একটা অসুবিধা হবে না বলেই আশা করা হচ্ছে।