বাংলাএক্সপি ডেস্ক: রাজ্যের বড় শহর থেকে শুরু করে ছোট ছোট শহরেও এখন বাড়ছে শপিংমল (Shopping Mall)। তবে শপিংমলের চাহিদা বাড়লেও কিন্তু দিন দিন বিভিন্ন শহর থেকে সিনেমা হল উঠে যাচ্ছে। আর এবার রাজ্য সরকার শপিংমল ও সিনেমা হলকে একসঙ্গে জুড়ে মাল্টি কমপ্লেক্স-এর মত বন্দোবস্ত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করলো। সেই পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঝাড়গ্রামে আয়োজিত আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, রাজ্যের সমস্ত জেলাতেই পাঁচ তলা শপিংমল তৈরি করা হবে। এই সকল শপিং মল তৈরি করা হবে সরকারি উদ্যোগে। রাজ্যের সমস্ত জেলার সদর শহরগুলিতে এমন শপিংমল তৈরি করা হবে। ওই সকল শপিংমলে থাকবে সিনেমা হল। এছাড়াও ঐ সকল শপিংমলে কি কি জিনিসপত্র বিক্রি করা হবে, তাও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী, রাজ্যের ২৩ জেলায় যে সকল সদর শহর রয়েছে সেই সকল সদর শহরে এমন সিনেমা হল যুক্ত শপিংমল তৈরি করা হবে। এই সকল পাঁচ তলা শপিং মলের দুটি তল স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি জিনিসপত্র বিক্রির জন্য রাখা হবে। বাকি যে তিন তলা থাকবে সেগুলিতে অন্যান্য দোকান করা হবে। এর জন্য প্রত্যেক জেলার সদর শহর থেকে এক একর করে জমি সংগ্রহ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Asansol Rail Corridor: আসানসোল থেকে তৈরি হবে নতুন রেল করিডর, অনুমোদন দিল কেন্দ্র সরকার
এই ধরনের শপিংমল করার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে জমি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জমি দেওয়ার পর বেসরকারি সংস্থার হাত দিয়ে তৈরি করা হবে শপিংমল। এই ধরনের শপিংমল তৈরি করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার ঝাড়গ্রাম ও কালিম্পংয়ের মতো আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় আদিবাসী ভবন তৈরি করবে।
রাজ্যের ২৩ জেলার সদর শহরে এমন পাঁচতলা শপিং মল তৈরি করার যে পরিকল্পনা রাজ্য সরকার নিয়েছে সেই তালিকায় আবার ১০টি শহরের নাম শোনা যাচ্ছে যেগুলিতে আগেই এই ধরনের শপিংমল তৈরি করা হবে। এর মধ্যে যে সকল শহরগুলির নাম উঠে আসছে সেই সকল শহরগুলি হল আসানসোল, দুর্গাপুর, বর্ধমান, শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, বহরমপুর, দীঘা, মেদিনীপুর, মালদা, চন্দননগর ইত্যাদি। ধাপে ধাপে রাজ্যের অন্যান্য যে সকল জেলার সদর শহর রয়েছে সেগুলিতেও এইরকম পাঁচ তলা শপিংমল তৈরি করা হবে।