Khoyai Haat : রাজ্যে যে সকল পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম একটি হলো শান্তিনিকেতন। এখানকার অন্যতম একটি আকর্ষণের জায়গা হল খোয়াই হাট (Santiniketan Khoyai Haat)। যেখানে বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকরা ঘুরতে আসেন। বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরতে আসার পাশাপাশি চলে কেনাকাটা। কিন্তু এবার এই হাট নিয়ে নতুন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, আর সেই সিদ্ধান্তের কথা না জানলে পর্যটকদের ঘুরতে এসে পস্তাতে হবে।
শান্তিনিকেতনের খোয়াই হাট যা পর্যটকদের কাছে সোনাঝুড়ির হাট নামে পরিচিত। একসময় এই হাট সপ্তাহে দু’দিন খোলা থাকলেও ধীরে ধীরে সারা বছরই পর্যটকদের ভিড় জমার কারণে সপ্তাহের সাত দিনই হাট বসতে শুরু করে। তবে এবার প্রতিদিন হাট খোলা থাকলে জঙ্গলের ক্ষতি হচ্ছে আর সেই কথা মাথায় রেখে হাট খোলার দিনের পরিবর্তন আনা হতে চলেছে।
শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরি হাট বা খোয়াই হাট প্রায় ২০ বছর আগে চালু হয়েছিল। স্থানীয় গ্রামবাসী ও হস্তশিল্পীদের উদ্যোগে এমন হাট চালু হয়েছিল শান্তিনিকেতন বনদপ্তরের জায়গায়। ধীরে ধীরে সেই হাট জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে। প্রথমদিকে শনিবার থেকে রবিবার পর্যন্ত প্রচুর ভিড় হতো পর্যটকদের, আর ওই দুই দিনই খোলা রাখা হতো। তবে পরবর্তীতে সপ্তাহে সাত দিন হাট খোলা রাখা শুরু করেন ব্যবসায়ীরা।
এমন পরিস্থিতিতে সপ্তাহের সাত দিন হাট খোলা থাকা এবং পর্যটকদের বিপুল আনাগোনার কারণে জঙ্গলের ক্ষতি হচ্ছে। পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাট কমিটির তরফ থেকে সপ্তাহে চার দিন হাট খোলা রাখা এবং বাকি তিন দিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সপ্তাহের বাকি যে তিন দিন হাট বন্ধ থাকবে ওই তিন দিন জঙ্গল ও গাছ পরিচর্যা করার কাজ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এই যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে তা না মানলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
এমন সিদ্ধান্তের ফলে অনেক পর্যটক রয়েছেন যাদের মন খারাপ, একই সঙ্গে মন খারাপ ব্যবসায়ীদেরও। তবে পরিবেশ প্রেমী থেকে শান্তিনিকেতনের মানুষদের বড় অংশ কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। এমন সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানানোর পিছনে যে কারণ রয়েছে তা হল, পরিবেশ বাঁচানো। কমিটির এমন সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে এবার পর্যটকরা শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির খোয়াই হাট ঘুরতে এলে সপ্তাহে যে চার দিন খোলা থাকবে ওই চার দিনই আসতে হবে। আর তা না হলে কিন্তু পস্তানো ছাড়া কোন উপায় নেই।