School Teachers: স্কুলের কী হাল! ক্লাস নিচ্ছেন গ্রুপ ডি কর্মী, কম্পিউটার চালাচ্ছেন সাফাই কর্মী

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

Malda School: পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্কুলের বেহাল দশা বিভিন্ন সময় সামনে আসতে দেখা যাচ্ছে। যেখানে হাজার হাজার চাকরি প্রার্থীরা তাদের চাকরির জন্য আন্দোলন চালাচ্ছেন সেই জায়গায় কোন কোন স্কুল রয়েছে যেগুলিতে স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকাদের (School Teachers) অভাবে বেহাল অবস্থা। ঠিক সেইরকমই একটি স্কুলের ঘটনা সামনে এলো, যেখানে দেখা যাচ্ছে ক্লাস নিচ্ছেন গ্রুপ-ডি কর্মী আর কম্পিউটার চালাচ্ছেন সাফাই কর্মী।

Advertisements

এমন ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলায় (Malda School)। যে স্কুলটির কথা বলা হচ্ছে ওই স্কুলটি মাধ্যমিক স্কুল হলেও স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অভাবে লাটে উঠেছে পড়াশোনা। ওই স্কুল এখন চলছে কেবলমাত্র তিনজন অবসরপ্রাপ্ত অতিথি শিক্ষকদের নিয়ে। যেখানে রাজ্যের হাজার হাজার যোগ্য চাকরি প্রার্থীরা শিক্ষক হওয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন সেই জায়গায় এমন পরিস্থিতি রাজ্যের শিক্ষার হালকে আঙুল দিয়ে দেখাচ্ছে।

Advertisements

গ্রুপ ডি কর্মীর হাত দিয়ে ক্লাস চালানো আর কম্পিউটার চালানো সাফাই কর্মীর, এমন ঘটনাটি মালদার হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের অন্তর্গত গভর্নমেন্ট মডেল স্কুলের। তবে এমন ঘটনা কিন্তু নতুন নয়। কেননা ওই স্কুলে গত আট বছর ধরে একই রকম ঘটনা ঘটে চলেছে বলে অভিযোগ। এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্কুল পড়ুয়াদের অভিভাবকরা ক্ষোভ উগড়ে জানিয়েছেন, শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের কোন সদিচ্ছায় নেই রাজ্য সরকারের। অন্যদিকে এই পরিস্থিতিতে ওই স্কুলের পড়ুয়াদের ভবিষ্যৎ এখন অন্ধকারে।

Advertisements

আরও পড়ুন : School Electric Bill: স্কুলে স্কুলে চলে গেল নির্দেশিকা, বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশিকায় চাপ বাড়ল শিক্ষকদের

২০১৬ সালে হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের বিতলপুরে সাড়ে ৩ একর জমির উপর ওই স্কুলটি তৈরি হয়েছিল। পরে ২০১৭ সালে ৫ জন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের নিয়ে ওই স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু হয়। কিন্তু তারাও আবার পরবর্তীতে অবসর নিতে শুরু করেন একে একে। ২০২১ সালে স্কুলে একজন স্থায়ী শিক্ষক নিযুক্ত হলেও পরবর্তীতে আবার ২০২৩ সাল থেকে তিনি বি.এড ট্রেনিংয়ের জন্য রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই ওই স্কুলের পড়ুয়াদের পড়াতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সকলকেই।

হরিশ্চন্দ্রপুরের ওই স্কুলটিতে পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত ১৮৫ জন পড়ুয়া রয়েছে। এদের মধ্যে গড়ে প্রতিদিন ১৫০ জন পড়ুয়া স্কুলে উপস্থিত থাকে। এতজন পড়ুয়াকে একজন স্থায়ী শিক্ষক ও তিনজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক দিয়ে পড়াতে হিমশিম খেতে হয়। একটি ক্লাস করাতে গেলে অন্য একটি ক্লাস বাদ চলে যায়। তবে ওই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের অভাব থাকলেও কিন্তু পরিকাঠামোগত দিক দিয়ে কোন অভাব নেই। স্কুলে ২৫ টি রুম রয়েছে, এর সঙ্গে সঙ্গে রয়েছে দুটি ল্যাব, খেলাধুলার মাঠ এবং মিড ডে মিল খাওয়ার জন্য ডাইনিং হল। অস্থায়ী অশিক্ষক কর্মীও রয়েছে এই স্কুলে। শুধু নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক।

Advertisements