বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ ট্রেনে আমরা অধিকাংশ মানুষেরাই কোন না কোন সময় চড়ে থাকি। যে কারণেই ভারতীয় রেলকে ভারতীয় নাগরিকদের গণপরিবহনের লাইফ লাইন বলা হয়। তবে রেল পরিষেবা বা ট্রেন কেবলমাত্র গণপরিবহনের লাইফ লাইন নয়, পাশাপাশি এর মধ্যে রয়েছে বেশ কিছু কৌতুহলপূর্ণ জিনিসপত্রও। যেমন ট্রেনের চাকা (Train Wheel)।
ট্রেনের চাকা : ট্রেনের চাকা অত্যন্ত কৌতুহলপূর্ণ একটি জিনিস। কেননা ট্রেনের চাকা আর পাঁচটা যানবাহনের মতো নয়। ট্রেনের চাকা মূলত লোহা ও ইস্পাত দিয়ে তৈরি। যে কারণে চাকায় অন্যান্য যানবাহনের মত টায়ার থাকে না। আর টায়ার না থাকার কারণেই তা ফেটে যাওয়ার সম্ভাবনাও নেই। তবে প্রশ্ন হল, অন্যান্য যানবাহনের মতো কি ট্রেনের চাকা পাল্টাতে হয় অথবা তা পাল্টালেও কত বছর পর?
ট্রেনের চাকা বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কোনোটির ওজন ২৩০ কেজি তো আবার কোনটির ওজন ৬৮০ কেজি। কোন কোন ট্রেনের চাকার ওজন ৯০০ কেজি পর্যন্ত হয়। অন্ততপক্ষে রেলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এমনটাই জানা যাচ্ছে। ট্রেনের এই সকল চাকা মূলত তৈরি হয়ে থাকে বেঙ্গালুরুর রেল হুইল ফ্যাক্টরিতে। তবে ঢালাই লোহা অথবা ইস্পাত দিয়ে তৈরি হওয়া এই সকল ট্রেনের চাকার পরমায়ু যে খুব বেশি তা কিন্তু নয়।
আরও পড়ুন : বাজারে আসছে সস্তার 5G ফোন, আনছে Jio
কোন ট্রেনের চাকা কত বছর চলবে তা নির্ভর করে মূলত ওই চাকাটি প্রতিদিন কত কিলোমিটার এবং কত সময় ধরে চলছে তার উপর নির্ভর করে। এছাড়াও নির্ভর করে জলবায়ু, ওই ট্রেন কত ওজন বহন করছে, যে ট্রেনে ওই চাকা লাগানো রয়েছে সেই ট্রেনের ক্ষমতা ইত্যাদির ওপর। আর এই সকল কিছু সামঞ্জস্য রেখে কুইন্টাল কুইন্টাল ওজনের ট্রেনের চাকারও পরমায়ু খুব বেশি নয় বললেই চলে। এমনকি সাধারণ যানবাহনের চাকার থেকেও পরমায়ু অনেকটাই কম।
সাধারণ যে সকল ট্রেন রয়েছে সেই সকল ট্রেনের চাকা তিন থেকে চার বছর, যদি কিলোমিটারের দিক দিয়ে হিসাব করা যায় তাহলে ৭০ হাজার থেকে ১ লক্ষ মাইল চলার পর বদলে ফেলা হয়। পণ্যবাহী ট্রেনগুলির ক্ষেত্রে আড়াই লক্ষ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো হয়। এক্ষেত্রে পণ্যবাহী ট্রেনগুলিতে চাকা ৮ থেকে ১০ বছরও চলে যায়। এছাড়াও ট্রেনের চাকা ৩০ দিন অন্তর অন্তর পরীক্ষা করা হয় এবং কোথাও কোনোরকম খুঁত পেলেই তা পাল্টে দেওয়া হয়।