বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ হঠাৎ করে শারীরিক অসুস্থতা অথবা অন্য কোন কারণে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা সিএল নিয়ে ছুটি নিয়ে থাকেন। সরকারি কর্মচারীদের সিএল অর্থাৎ ক্যাজুয়াল লিভ একটি চাকরি জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ লিভ। তবে বৃহস্পতিবার রাজ্য সরকার বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই সিএল-এর নিয়মে (CL Rules) বদল এনেছে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে সিএল-এর নিয়মে বিভিন্ন সময় বদল আনা হয়। তবে বদলানোর আগে তাদের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দেওয়া হয়। মূলত এমন ধরনের বদল তখনই আনা হয় যখন কোন প্রাকৃতিক বিপর্যয় থেকে শুরু করে অস্থির পরিস্থিতি অথবা কোন রাজনৈতিক দল বা সংগঠনের তরফ থেকে বনধ ডাকা হলে। ঠিক সেই রকমই শুক্রবারের জন্য সিএল-এর নিয়মে বদল আনার ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কখনোই চাননা, বনধ অথবা অন্য কোন কারণে রাজ্য অচল হয়ে যাক। বিশেষ করে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি যাতে কোনোভাবেই অচল না হয় তার জন্যই তিনি সরকারের শীর্ষস্থানে বসার পর থেকেই এমন নীতি গ্রহণ করে আসছেন। ঠিক সেই রকমই আরজি কর কাণ্ডের জন্য শুক্রবার এসইউসিআই যখন বনধ ডেকেছে এবং রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্যকে এক প্রকার অচল করে দেওয়ার ডাক দিয়েছেন সেই সময় রাজ্য সরকার সিএল-এর নিয়মে বদল আনলো।
আরও পড়ুন : Recruit in Jio: ১০ লক্ষ কর্মী নিয়োগ করবে Jio, কোন কোন সেক্টরে? কবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক
রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, শুক্রবার সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। এমনকি এই দিনটিতে সিএল নিয়ে বাড়িতে থেকে ছুটি কাটানো যাবে না। যদি কেউ উপস্থিত না হন তাহলে তার বেতন থেকে টাকা কেটে নেওয়া হবে। উপস্থিত না থাকলে তার উপযুক্ত কারণও দেখাতে হবে। উপযুক্ত কারণ না দেখাতে পারলে শোকজ আর শোকজের জবাব যদি না দেওয়া হয় তাহলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের নোটিশ জারি করা হবে।
এমন কড়া বিজ্ঞপ্তি জারি করা হলেও অবশ্য রাজ্য সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দিয়েছে। যেমন হাসপাতালে ভর্তি থাকা থেকে শুরু করে কোন সরকারি কর্মচারীর পরিবারের শোকের বাতাবরণ হলে তিনি ছাড় পাবেন। এছাড়াও যে সকল সরকারি কর্মচারীরা ১৪ আগস্টের আগে শুক্রবার ছুটির জন্য আবেদন করে রেখেছেন তারা এই নিয়মের আওতার বাইরে পড়বেন। মনে রাখতে হবে, সিএল-এর নিয়মে এমন বদল কেবলমাত্র শুক্রবারের জন্যই বলে জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।