বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ জামশেদপুর শহর সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। ঝাড়খণ্ডের এই শহর ছকে ছকে তৈরি করেছিলেন জামশেদজি টাটা। যে শহরে পানীয় জল থেকে শুরু করে রাস্তাঘাট, স্কুল, কলেজ কোন কিছুরই অভাব নেই, আবার সবকিছুই সাজানো-গোছানো। ঠিক সেই রকমই রতন টাটা (Ratan Tata) আরও একটি শহর তৈরি করতে চলেছেন বলে শোনা যাচ্ছে। এই শহরটি হতে চলেছে দ্বিতীয় টাটা নগরী (Second Tata City)।
শিল্পপতি হিসাবে যেমন জামশেদ জি টাটা ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পপতি হিসাবে পরিচিত, তার থেকেও জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন রতন টাটা। রতন টাটা কেবল একজন শিল্পপতি হিসাবে এমন জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন তা নয়, রতন টাটা জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন শিল্পপতির থেকেও বেশি জনদরদী একজন মানুষ হিসাবে। যাকে বিভিন্ন সময় দেশের উপকারের জন্য বিভিন্ন কাজে হাত বাড়াতে দেখা যায়।
রতন টাটাকে নিয়ে যখন দেশের মানুষদের মধ্যে দিন দিন আশা প্রত্যাশা বাড়ছে, সেই সময় জোর জল্পনা শুরু হয়েছে, রতন টাটা নাকি একটি দ্বিতীয় টাটা নগরী তৈরি করতে চলেছেন। যে টাটা নগরী জামশেদপুরের থেকেও হবে অনেক বেশি উন্নত। যে টাটা নগরীতে সব ধরনের সুবিধা পাওয়া যাবে। জামশেদপুরের ক্ষেত্রে যে সকল সুবিধা পাওয়া যায় তার থেকেও অনেক বেশি সুযোগ-সুবিধা থাকবে নতুন এই টাটা নগরীতে।
আরও পড়ুন : Air India: শক্তি বাড়ছে টাটাদের এয়ার ইন্ডিয়ার, জুড়ে যাচ্ছে আরও একটি সংস্থা
ভারতীয় শিল্পপতিদের এমন নতুন নতুন শহর তৈরি করার ঘটনা প্রথম নয়। আগে যেমন জামশেদপুর তৈরি হয়েছিল, ঠিক সেই রকমই আম্বানিদের হাত দিয়ে গুজরাতে জামনগর তৈরি হয়েছে। এছাড়াও আম্বানিরা দিল্লি এনসিআর পার্শ্ববর্তী এলাকায় আরো একটি অত্যাধুনিক শহর তৈরি করার পরিকল্পনা মোতাবেক কাজ শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। আর এসবের মধ্যেই সামনে এলো রতন টাটার নতুন শহর নিয়ে জল্পনা।
রতন টাটা নতুন যে শহরটি তৈরি করতে চলেছেন সেটি তামিলনাড়ুতে তৈরি হবে বলে শোনা যাচ্ছে। তামিলনাড়ুর হসুরের কাছে থিমজেপল্লী নামে যে একটি গ্রাম রয়েছে সেই গ্রামে ২০২০ সালে টাটা ইলেকট্রনিক্স একটি প্ল্যান্ট তৈরি করেছিল। যে কারখানায় অন্ততপক্ষে ২০ হাজার কর্মী কাজ করেন। এই কারখানায় মূলত আইফোন তৈরি করার কাজ করা হয়। সেখানেই তামিলনাড়ু সরকারের সাহায্যে কর্মীদের থাকার জন্য বাড়ি তৈরি করা হবে। সেখানেই তৈরি হবে নতুন শহর। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করার জন্য টাটা গোষ্ঠীর তরফ থেকে ৫০৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এখানে ১৪ টি ব্লকে ৩০০০ ফ্ল্যাট তৈরি হবে। এখানেই ধীরে ধীরে গড়ে উঠবে দ্বিতীয় টাটা নগরী বলেই জল্পনা তৈরি হয়েছে।