R G Kar Hospital: প্রায় বন্ধ হাসপাতাল, আপাতত এই তিন জায়গায় মিলবে রোগীদের সুরাহা

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

R G Kar Hospital: ৯ই আগস্ট, ২০২৪-এ আরজি কর মেডিকেল কলেজে (R G Kar Hospital) স্নাতকোত্তর শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে মৃত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ার পর জায়গায় জায়গায় বিক্ষোভ শুরু হয়। ১৪ই আগস্ট, বেশ কিছু দুষ্কৃতীরা আরজি কর হাসপাতাল ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে, বিক্ষোভের স্থান, যানবাহন এবং সরকারী সম্পত্তি ভাংচুর করে, যার ফলে আরজি করে কর্মরত ডাক্তার ও নার্সদের নিরাপত্তায় প্রশ্ন ওঠে।

Advertisements

ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাকে সারাদেশে ডাক্তাররা সাড়া দিয়ে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে, ন্যায়বিচারের দাবিতে। আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের জওহরলাল নেহেরু মেডিকেল কলেজের চিকিৎসকরা শনিবার একটি মোমবাতি মিছিল করেছে, দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে। তারা আরজি কর মেডিকেল কলেজের (R G Kar Hospital) নৃশংস অপরাধের নিন্দা জানিয়ে ন্যায়বিচারের আহ্বান জানান এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানান।

Advertisements

ওড়িশায়, সহিদ লক্ষ্মণ নায়ক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ওড়িশা নার্সিং কর্মচারী সমিতিও একটি মোমবাতি মিছিলের আয়োজন করেছিল, যেখানে নার্স এবং ডাক্তাররা অপরাধের প্রতিবাদ করেছিলেন। পশ্চিমবঙ্গের থিয়েটার শিল্পীরা শনিবার মধ্যরাতের মিছিলের সাথে এই ঘটনার প্রতিবাদে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিক্ষোভে যোগ দেয়। মহারাষ্ট্রে এবং AIIMS মঙ্গলাগিরিতেও বিক্ষোভ দেখা গেছে, যেখানে জুনিয়র ডাক্তার এবং মেডিকেল ছাত্ররা এই ঘটনার জন্য তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছিল।

Advertisements

চারিদিকে যখন প্রতিবাদের মিছিল, ধর্মঘট ইত্যাদি চলছে বিপদে পড়েছে একদল মানুষ। অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও ডাক্তার দেখাতে পারছেন না, কোন প্রকার চিকিৎসা করাতে পারছেন না। এবার যারা এমার্জেন্সিতে ভর্তি হতে চান তাদের জন্য – এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল খুলে দেওয়া হলো।

আরও পড়ুন : RG Kar Hospital: বিলেত ফেরৎ ডাঃ আরজি কর ভিক্ষে করে গড়েছিলেন আরজি কর হাসপাতাল, আজ চলছে তাণ্ডব

এত বছর ধরে অসংখ্য রোগী বিনা পয়সায় ভালো চিকিৎসার আশায় আরজি করে (R G Kar Hospital) এসে ভিড় জমাতেন। আজ সেই আরজি করে জুনিয়র ডাক্তার থেকে শুরু করে নার্সেরা তাদের দায়িত্ব কর্তব্য থেকে সরে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন। তার মূল কারণ একটিই – মৃত জুনিয়ার ডাক্তারের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়ের বিচার পাওয়ানো। জুনিয়ার ডাক্তারদের বা ট্রেইনিদের পড়াশুনো গত শুক্রবার থেকে একদমই বন্ধ। তাই বেশিরভাগ জুনিয়ার আপাতত বাড়ি ফিরে গেছেন।

তবে নির্দেশ অনুযায়ী এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতাল, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজএবং হাসপাতাল ও সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজএবং হাসপাতাল এই তিনটিতে রোগী পাঠানো যাবে। এই তিনটিতেই এখন চিকিৎসা হচ্ছে। ডাক্তারদের এই হরতালে রোগীরা অত্যন্ত নাজেহাল হচ্ছে।

Advertisements