নদীয়া: সিভিক ভলেন্টিয়াররা (Civic Volunteers) রাজ্যে পুলিশের সহযোগী হিসাবে কাজ করলেও হাইকোর্ট এবং রাজ্য পুলিশের নির্দেশ অনুযায়ী তাদের অনেক কাজেই ব্যবহার করা যায় না। যদিও এই নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিয়ে এমন এমন কাজ করাচ্ছেন যেগুলি আইনবিরুদ্ধ। সেই রকমই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে যান আর এমন কাজ করেন তারা যেন ‘পুলিশের বাবা’। ঘটনা সামনে আসতেই তাদের সাসপেন্ড করেছে পুলিশ।
সাসপেন্ড হওয়া দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের নদীয়ার চাপড়া ডিআইবি অফিসে কর্মরত। তাদের একজনের নাম লিটন মল্লিক এবং আরেকজনের নাম উজ্জ্বল শেখ। আপাতত তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে আসা অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নদীয়ার কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (হেডকোয়ার্টার) মাকওয়ানা মিতকুমার।
পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে গিয়ে কি এমন করলেন ওই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ার? তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা অত্যন্ত গুরুতর। তারা দুজন চাপড়া থানার গোয়ালডাঙ্গার বাসিন্দা আকসার মন্ডলের পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য গিয়েছিলেন। অভিযোগ পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য যাওয়ার পাশাপাশি তারা ওই ব্যক্তির থেকে টাকা চান। এক্ষেত্রে আকসার মন্ডল সেই টাকা দিতে রাজি না হলে ভেরিফিকেশন হয়নি এবং পাসপোর্ট হয়নি।
এমন ঘটনা সামনে আসার পরই নড়েচড়ে বসে কৃষ্ণনগর জেলা পুলিশ। তারপরই তাদের দুজনকে সাসপেন্ড করা হয় এবং তাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চালানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খোদ আগে জানিয়েছেন, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য যেন রাজ্যের কোন বাসিন্দাকে হয়রানির শিকার হতে না হয়। কিন্তু তারপরেও এমন ঘটনা রীতিমতো পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙ্গুল তুলছে।
এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্ট এবং লালবাজার যে সকল নির্দেশিকা জারি করেছে সেই সকল নির্দেশিকা অনুযায়ী ওই দুই সিভিক ভলেন্টিয়ারের এইভাবে কারো কাছে পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনের জন্য টাকা দাবি করার সাহস আসে কোথায় থেকে! এখন চারদিকে এই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি তাদের এমন সাহসের পিছনে অন্য কারো মদত রয়েছে?