বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ আরজি কর (RG Kar Case) মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে যুবতী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনা গোটা রাজ্যের পাশাপাশি দেশ ও বিদেশকেও নাড়িয়ে দিয়েছে। এমন ঘটনায় চারদিকে যেমন প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে, ঠিক সেই রকমই আবার বহু মানুষ রয়েছেন যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিচ্ছেন। আর এইভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে অনেকেই রয়েছেন যারা লালবাজারের কোপে পড়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়ায় মৃত যুবতী ডাক্তারের নাম প্রকাশ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পোস্ট ও মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বহু মানুষকেই লালবাজার ইতিমধ্যে তলব করেছে। লালবাজারের এই তলবের তালিকায় সাধারণ মানুষদের পাশাপাশি রয়েছেন বিশিষ্টজনেরাও, রয়েছেন রাজনীতিকরাও। আর এই বিষয়টি নিয়েই এবার ক্ষোভ প্রকাশ করল খোদ সুপ্রিম কোর্ট। ক্ষোভ প্রকাশ করেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূর।
মঙ্গলবার আরজি কর কান্ডের মামলার শুনানি চলাকালীন আরজি করের এমন ঘটনার বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেন। নিরাপত্তা ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মৃত্যু এবং মৃত্যুর পর এফআইআর দায়ের হতে ঘন্টার পর ঘন্টা লেট সবকিছুই উঠে আসে আর এই সকল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানান প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় রাজ্যকে। এসবের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের মতামত প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে লালবাজারের তলব নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন : Sandip Ghosh: পড়াশুনায় কেমন ছিলেন আরজি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ? কেমন ছিল তাঁর চরিত্র
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ মানুষ এবং বিশিষ্টজনেদের মতামত প্রকাশের বিরুদ্ধে লালবাজারের এমন পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়, অবিলম্বে এইসব বন্ধ করতে হবে। বিচারপতির এমন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে ফের একবার ব্যক্তির স্বাধীনতার বিষয়টি অগ্রগণ্য হলো। কেননা সোশ্যাল মিডিয়ায় এর আগেও কার্টুন থেকে শুরু করে মতামত পেশ করার জন্য বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের পুলিশি তোপে পড়তে হয়েছে। আর বারবার সেই সকল ক্ষেত্রে শেষমেষ জয় হয়েছে সাধারণ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদেরই।
এবারও আরজি কর কাণ্ডে যখন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিশিষ্টজনেরা সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করেছেন সেই সময় লালবাজারের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কথা বললেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি লালবাজারকে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের ফের একবার জয় হল বলেই মনে করা হচ্ছে, পাশাপাশি অনেকেই বলছেন ‘সুপ্রিম কোর্ট এবার লালবাজারকে ধুয়ে দিল।’