কল্যাণী: রান্নার গ্যাস এখন দেশের প্রায় অধিকাংশ মানুষের বাড়িতে অত্যন্ত জরুরী হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেননা এখন কাঠ-কয়লার উনুন অথবা কেরোসিনের স্টোভের জায়গা নিয়ে নিয়েছে রান্নার গ্যাস কানেকশন। তবে এলপিজি (LPG) সঙ্কট হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে, কেননা রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে ঘনিয়ে উঠছে আশঙ্কার কালো মেঘ।
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে ওঠার পিছনে একটি কারণ মাথাচাড়া দিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে যাতে কোনরকম অসুবিধা না হয় তার জন্য যাদের বাড়িতে ডবল সিলিন্ডার রয়েছে এবং একটি সিলিন্ডার শেষ হওয়ার মুখে তাদের তড়িঘড়ি গ্যাস বুকিং করে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। কেননা এখন একবার রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার বুকিং করা হলে তা পেতে বেশ কয়েক দিন সময় লেগে যাচ্ছে।
রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে এমন আশঙ্কার কালো মেঘ ঘনিয়ে ওঠার পিছনে রয়েছে কল্যাণীতে থাকা ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের বটলিঙ্ প্লান্টে মাস দুয়েক ধরে চলা আন্দোলন। ওই প্ল্যান্টের গেটের সামনে ভারতীয় মজদুর সংঘের সদস্যরা দু’মাস ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন। মূলত কল্যাণী বিজেপি বিধায়কের নেতৃত্বেই এমন আন্দোলন চলছে এবং মঙ্গলবার বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়ের উপস্থিতিতেই ডিলারদের ও ডিস্ট্রিবিউটারদের মারধরের অভিযোগ ওঠে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে।
এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ডিলাররা এবং ডিস্ট্রিবিউটাররা এর সুরাহার জন্য জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানিয়েছেন এবং সেই বৈঠকে যদি কোন সুরাহা না পাওয়া যায় তাহলে তারা ধর্মঘটে শামিল হবেন। এমনিতেই গত দুমাস ধরে আন্দোলন চলার কারণে রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার সরবরাহের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকদিন দেরি হচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে ৪/৫ দিন তো আবার কোন কোন ক্ষেত্রে ১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে যদি আবার ধর্মঘট হয় তাহলে পরিস্থিতি আরও বিগড়ে যাবে।
গত দু’মাস ধরে এমন আন্দোলন চলার পিছনে রয়েছে দুর্নীতি থেকে শুরু করে শ্রমিক শোষণ, কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে বেআইনিভাবে নিয়োগ ইত্যাদি। আর এর ফলে এমনিতেই রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার পাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকটাই দেরি হচ্ছে। এরপর আবার যদি ডিলার ও ডিস্ট্রিবিউটররা ধর্মঘটে সামিল হন তাহলে পরিস্থিতি কোন জায়গায় পৌছাবে তা টের পাওয়া যেতে পারে। আর এই আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই বাড়িতে যাতে রান্নার গ্যাসের অভাব না হয় তার জন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন রয়েছে বলে মনে করছেন অনেকেই।