বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ পড়ুয়াদের এখন অদ্ভুত ইউনিফর্ম (School Uniform) বা পোশাক দেখা যাচ্ছে। যে কাপড় দিয়ে জামা তৈরি হওয়া দরকার সেই কাপড়ে তৈরি হয়েছে প্যান্ট আর প্যান্ট তৈরির কাপড়ে তৈরি হয়েছে জামা। রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের ছাত্রীদের পরনে এখন এমনই ইউনিফর্ম দেখা যাচ্ছে। যা নিয়ে একদিকে বিতর্ক তৈরি হওয়ার পাশাপাশি তৈরি হয়েছে হাসিঠাট্টাও।
স্কুল পড়ুয়াদের নতুন এমন ইউনিফর্ম পরে এখন খুলে যেতে দেখা যাচ্ছে সিউড়ি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের কড়িধ্যা যদুরায় হাইস্কুলের ছাত্রীদের। এমন পোশাক অনেকের ক্ষেত্রেই অবাক করেছে। যদিও এই স্কুলে এমন পোশাক নিয়ে কোন বিতর্ক তৈরি হয়নি। অন্যদিকে এই পোশাক নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে নদীয়ার একটি স্কুলে। ওই স্কুলের পড়ুয়াদের একাংশ প্যান্টের কাপড়ে জামা আর জামার কাপড়ের প্যান্ট পেয়ে ক্ষুব্ধ।
ঘটনা এখন এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে অনেক পড়ুয়া রয়েছে যারা এমন পোশাক পরতে চাইছে না। অনেকেই এই পোশাক বাড়িতে তুলে রেখে দিতে চাইছে। অনেকের ক্ষেত্রেই আবার এমন পোশাক পরিপ্রেক্ষিতে রীতিমতো হাসিঠাট্টার মতো ঘটনার মুখোমুখি হচ্ছে। এসব দেখে প্রশ্ন উঠছে কেন এমন উল্টো পোশাক এলো পড়ুয়াদের জন্য? এই পোশাক কোথায় থেকে এলো?
আরও পড়ুন : Champai Soren: খোলা ছিল তিন পথ, অবশেষে এটিই বেছে নিলেন ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চম্পাই সোরেন
প্রথমত পড়ুয়াদের এই পোশাক নিজেদের পকেট থেকে টাকা খরচ করে তৈরি করতে হয় না। এই পোশাক সরকারের তরফ থেকেই বিডিও অফিসের মাধ্যমে সরবরাহ করা হয়। এক্ষেত্রে কড়িধ্যা যদুরায় হাইস্কুলের এক শিক্ষক জানিয়েছেন, পোশাক নিয়ে বহুদিন আগে একটি নির্দেশিকা বেরিয়েছিল। তবে ঠিক কবে সেই নির্দেশিকা বেরিয়েছিল তা তিনি মনে করতে পারছেন না। কিন্তু এই পোশাক সরকারের তরফ থেকেই সরবরাহ করা হয়ে থাকে।
অন্যদিকে নদীয়ার যে স্কুলটির কথা বলা হচ্ছে অর্থাৎ করিমপুর সেনপাড়া রাধারানী উচ্চ বিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের জন্য সাদা জামা ও নীল রঙের গাউনের অর্ডার দেওয়া হয়েছিল। অন্যদিকে ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য সালোয়ার কামিজের বরাত দেওয়া হয়েছিল। আর সেই সকল পোশাক যখন তৈরি হয়ে আছে তখন এমন উল্টো ঘটনা দেখা যায়। শুধু ছাত্রীদের পোশাকের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটেছে এমন নয়, পাশাপাশি বেশ কিছু ছাত্রেরও জামার কাপড়ে তৈরি করা হয়েছে হাফপ্যান্ট। আর এই পরিস্থিতিতে শিক্ষকরা ও বিরম্বনার মধ্যে পড়লেও শৃঙ্খলাভঙ্গের ভয়ে মুখ খুলছেন না।