কলকাতা: আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে (RG Kar) গত ৯ আগস্ট মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে গোটা রাজ্য থেকে শুরু করে দেশ-বিদেশ। এই ঘটনার পিছনে ঠিক কি রয়েছে তা খুঁজতে মরিয়া সিবিআই। তবে সিবিআই যখন মহিলা চিকিৎসকের মৃত্যুর তদন্তে ব্যস্ত সেই সময় আরও বিভিন্ন তথ্য সামনে আসছে। আরজি কর এখন যেন হয়ে দাঁড়িয়েছে কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। কেননা এক তদন্তে নেমে উঠে আসছে অন্যান্য বিভিন্ন ঘটনা।
আরজিকর কাণ্ড নিয়ে যখন সিবিআই তাদের মত করে তথ্য সংগ্রহ করছে এবং তদন্ত চালাচ্ছে ঠিক সেই সময় কলকাতা পুলিশের হাতে এমন বিভিন্ন সব ভয়ংকর তথ্য সামনে আসছে বলেই জানা গিয়েছে। বিপুল টাকা নয়ছয়ের ঘটনা ঘটেছে আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। আর এই সকল টাকা নয়ছয়ের (RG Kar Scam) ঘটনায় শুধু সন্দীপ ঘোষ নন, পাশাপাশি নজরে রয়েছেন আরও ৫ জন।
সূত্র মারফত যা জানা যাচ্ছে তাতে টাকা নয়ছয় করার এমন ঘটনা ঘটেছে কোভিডের সময়। কোভিদের তহবিল থেকে কেনা হয়েছিল বিলাসবহুল সব আসবাবপত্র। আবার ওই সময় সুযোগকে কাজে লাগিয়ে সরকারের টাকায় বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষার জন্য মূল্যবান যন্ত্রপাতি কেনা হলেও সেই সকল যন্ত্রপাতি হাসপাতালের বদলে চলে গিয়েছে অন্য কোথাও। এই সকল মূল্যবান যন্ত্রপাতি মূলত পাচার করা হয়েছে বিভিন্ন নার্সিংহোমে।
আরও পড়ুন : KBC: টিনের চাল, মাটির ঘরে বাস, মেধার জোরে KBC-তে সাড়ে ১২ লাখ টাকা জয় হুগলির মুদি জয়ন্তের
এমন সব একাধিক অভিযোগ এনে সম্প্রতি উত্তর কলকাতার টালা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুর্নীতির এই অভিযোগে একদিকে যেমন নাম রয়েছে আর জি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের, ঠিক সেই রকমই নাম রয়েছে আরও পাঁচজন স্বাস্থ্যকর্তার। যাদের মধ্যে আবার একজন আরজি করের প্রাক্তন এবং আরো একজনের নাম রয়েছে যিনি এখনো আরজি করে কর্মরত।
এর পাশাপাশি অনুমতি ছাড়া হাসপাতালে ফুড স্টল, কাফে, ক্যান্টিন, কমপ্লেক্স ইত্যাদি তৈরির টেন্ডার ডাকা হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই সকল টেন্ডার বিশেষ তিন ব্যবসায়ীই পান। যাদের কোটি কোটি টাকার বরাত দেওয়া হয়েছে। অথচ এই সকল বরাতের বিষয়ে স্বাস্থ্য ভবন অথবা মেডিকেল কলেজ কাউন্সিল অথবা ফিন্যান্স ও অ্যাকাউন্ট অফিসারদের কিছু জানা নেই। এর পাশাপাশি পূর্ত দপ্তরকে কিছু না জানিয়ে বিদ্যুৎ সহ অন্যান্য কাজ করা হয়। এছাড়াও হাসপাতালের পার্কিং থেকে আদায় করা টাকা সরিয়ে নেওয়া সহ নানান ধরনের অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে।