Ilish Price: অবাক লাগছে? অবাক লাগলেও সত্যি। হ্যাঁ, ইলিশের দামের কথা বলছি। যে ইলিশ পাতে পেতে মুখিয়ে থাকেন বাঙালিরা, যে ইলিশের পিছনে হাজার হাজার টাকা খরচ করতে হয়, সেই ইলিশের পিস এখন মিলছে ১০০ টাকারও (Ilish Rate in WB) কমে। স্বাভাবিকভাবেই এমনটা বিশ্বাস না হওয়ারই কথা। কিন্তু এমনটাই এবার দেখা গেল পশ্চিমবঙ্গের একটি মার্কেটে। জলের দরে এমন ইলিশ কিনতে স্বাভাবিকভাবেই বাজারে ভিড় জমেছে ক্রেতাদের।
বর্ষার শুরুতে দক্ষিণবঙ্গে সেই ভাবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে নদী-নালায় পাড়ি দিয়েও ইলিশ সেই ভাবে মিলছিল না। তবে ইদানিং বৃষ্টির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে জালে পড়তে শুরু করেছে টন টন ইলিশ। এখন ওড়িশা থেকে দীঘা, মুম্বাই, গুজরাত সব জায়গাতেই ইলিশের যোগান যথেষ্ট। আর এরই ফলে দাম কমতে শুরু করেছে।
ইলিশ তখনই মৎস্যজীবীদের জালে সবচেয়ে বেশি ধরা পড়তে দেখা যায় যখন গুঁড়িবৃষ্টি আর পূবালী হওয়ার দোসর হয়ে দাঁড়ায়। বর্তমানে তেমনই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার ফলে ইলিশের বন্যা শুরু হয়েছে। আর এমন মুহূর্তেই শনিবার বাজারে গিয়ে ইলিশের যা দাম দেখা গেল সেই দামে আগে কেউ কখনো ইলিশ কিনেছেন কিনা মনে করতে পারছেন না। এখন প্রশ্ন জাগতে পারে ১০০ টাকার নিচে ইলিশের পিস কোন বাজারে পাওয়া যাচ্ছে?
আরও পড়ুন : Fixed Deposits: পাঁচ বছরের ফিক্সড ডিপোজিট করলে কোথায় পাবেন সবথেকে বেশি লাভ, দেখে নিন একনজরে
মৎস্যজীবীদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, এই বছর ইদানিং পুলিশের যোগান ৫ গুণ বেড়ে গিয়েছে এপার বাংলা ও ওপার বাংলায়। স্বাভাবিকভাবেই ইলিশের দাম পড়তে শুরু করেছে। আর ১০০ টাকার নিচে ইলিশের পিস শনিবার বিক্রি হতে দেখা যায় মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন বাজারে। যেখানে দেখা গেল ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা ইলিশের পিস বিক্রি হতে। তবে এই সকল ইলিশ খোকা ইলিশ নামেই পরিচিত, অর্থাৎ এই সকল ইলিশের সাইজ খুব ছোট। আবার খোকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ হলেও তা সেই নিষেধাজ্ঞাকে উড়িয়েই বাজারে চলে আসছে।
মুর্শিদাবাদের মৎস্য ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, খোকা ইলিশ তাদের বাজারে ৮০ থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে এক কেজি থেকে দেড় কেজি ওজনের ইলিশ এখন তাদের বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা কিলো দরে। বড় ইলিশের দামও কিন্তু হিসেব অনুযায়ী অনেকটাই সস্তায় চলছে। ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ইলিশের কেজি এখন চলছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে। ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা কেজি দরে পাওয়া যাচ্ছে ৩০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ। তবে বাংলাদেশ এখনো পর্যন্ত ভারতকে ইলিশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত না নেওয়ার ফলে বাংলাদেশের ইলিশ এখনো বাজারে অধরা।