নিজস্ব প্রতিবেদন : করোনা অতিমারির কথা এখনো বিশ্বের মানুষ ভুলে যায়নি। যে অতিমারিতে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। সেই অতিমারির রেস কাটতে না কাটতেই এবার নতুন করে আতঙ্ক নিয়ে হাজির মাঙ্কিপক্স। যে মাঙ্কিপক্স আফ্রিকা মহাদেশের গণ্ডি টপকে ইতিমধ্যেই বিশ্বের ১১৬ টি দেশে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফ থেকে ইতিমধ্যেই মাঙ্কিপক্সকে গ্লোবাল হেলথ এমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে।
এমন পরিস্থিতিতে যখন মাঙ্কিপক্স নিয়ে সাধারণ মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক বাড়ছে সেই সময় আশার আলো দেখালেন তিন বাঙালি গবেষক। যে তিন বাঙালি গবেষকের মধ্যে একজন আবার রয়েছেন বিশ্বভারতীর। তিন বাঙালি গবেষক মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিনের ডিজাইন (Monkeypox Vaccine Design) তৈরি করে ফেলেছেন। আর তাদের এই ডিজাইন তৈরির পরিপ্রেক্ষিতে যে রোগে আক্রান্ত হয়ে তিন শতাংশ মৃত্যুর হার রয়েছে সেই রোগ থেকে রক্ষা পেতে আশার আলো পাওয়া যাচ্ছে।
মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করেছেন বাঙালি গবেষক তন্ময় মজুমদার। দিল্লির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইমোলজির গবেষণাগারে এমন ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করা হয়েছে। এই ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করার ক্ষেত্রে তন্ময় বাবুর সহযোগী হিসাবে কাজ করছেন কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানী সুপ্রভাত মুখোপাধ্যায় এবং বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের রাকেশ কুন্ডু। তাদের দাবি, ভারতে প্রথম মাঙ্কিপক্স ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি করা সম্ভব হলো।
আরও পড়ুন : Lakshmir Bhandar: বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা? নতুন ফর্মের কথা জানালেন কুনাল ঘোষ
মাঙ্কিপক্স ভাইরাস খুব দ্রুত নিজেদের মিউট্রেট করে নতুন স্টেইন তৈরি করে। যে কারণে এমন একটি ভাইরাসকে জব্দ করা অত্যন্ত কঠিন। যদিও ভ্যাকসিনের ডিজাইন তৈরি হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বিজ্ঞানীরা আশাবাদী খুব তাড়াতাড়ি তারা বাজারে ভ্যাকসিন আনতে সক্ষম হবেন। এর পাশাপাশি তাদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, যে ভ্যাকসিন তারা তৈরি করতে সক্ষম হবেন বলে আশাবাদী সেই ভ্যাকসিন মানব শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হবে।
কোভিড ভাইরাসের মত মাঙ্কিপক্স ভাইরাস এতটা ছোঁয়াচে নাহলেও এই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত রোগীর কাছে পিঠে এলেও খুব দ্রুত তা ছড়িয়ে পড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে যখন আতঙ্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে সেই সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জরুরী ভিত্তিতে দুটি ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে। তবে বিজ্ঞানীদের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, যে দুটি ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে সেই দুটি ভ্যাকসিন স্মল পক্সের উপর প্রয়োগ করা হয়েছে। যে কারণে দীর্ঘ মেয়াদী প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে অক্ষম। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বের বহু দেশ মাঙ্কিপক্সের ভ্যাকসিন তৈরির জন্য উঠেপড়ে নেমেছে আর সেই উঠে পড়ে নামার মধ্যেই বড় আশার আলো দেখালেন তিন বাঙালি বিজ্ঞানী।