Bangla Bandh: কটা থেকে কটা পর্যন্ত চলবে বুধবার বিজেপির বাংলা বনধ? কেমন থাকবে পরিস্থিতি?

Madhab Das

Published on:

Advertisements

কলকাতা : আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল ছাত্ররা। অরাজনৈতিক মঞ্চের তরফ থেকে এই নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হলেও পিছন থেকে আপাদমস্তক সমর্থন যুগিয়েছে বিজেপি। নবান্ন অভিযানকে ঘিরে যখন মঙ্গলবার ধুন্ধুমার কান্ড বেঁধে যায়, ঠিক সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী ছাত্রদের উপর পুলিশি অত্যাচার না থামলে বুধবার বাংলা বনধ (Bangla Bandh) ডাকা হবে এমন হুঁশিয়ারি দেন।

Advertisements

শুভেন্দু অধিকারীর এমন হুঁশিয়ারির মধ্যেই পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুধবার বাংলা বনধের ডাক দেন। বাংলা বনধের এমন ডাক দেওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই সাধারণ মানুষদের মধ্যে প্রশ্ন, কত ঘন্টার বাংলা বনধ? কখন থেকে শুরু হবে? কটা পর্যন্ত চলবে? বিজেপির বাংলা বনধে কি জনজীবন স্তব্ধ হয়ে যাবে? নাকি সবকিছু স্বাভাবিক থাকবে?

Advertisements

সুকান্ত মজুমদার এমন বাংলা বনধের ডাক দেওয়ার কারণ হিসাবে জানিয়েছেন, আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে নবান্ন অভিযানে নামা ছাত্র সমাজকে প্রতিহত করতে পুলিশ যেভাবে তাদের ওপর অত্যাচার করেছে তারই প্রতিবাদে এমন বাংলা বনধ। পুলিশ মারধর করার পাশাপাশি লাঠি চালিয়েছে, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়েছে, জল কামান দিয়ে অকথ্য অত্যাচার করেছে।

Advertisements

আরও পড়ুন : Bagdogra Airport: ১৫৪৯ কোটি টাকায় নতুন করে সেজে উঠবে বাগডোগরা এয়ারপোর্ট, দুর্দান্ত পরিকল্পনা কেন্দ্রের

বিজেপির তরফ থেকে বুধবার ১২ ঘন্টার বাংলা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। ১২ ঘন্টার যে সকল বাংলা বনধ টাকা হয় সেগুলি শুরু হয় সকাল ৬টা থেকে এবং চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। এক্ষেত্রে বুধবার বিজেপির বাংলা বনধ সকাল ছয়টা থেকে শুরু হবে এবং তার সমাপ্তি ঘটবে সন্ধ্যা ৬টায়। তবে বাংলা বনধ কতটা সফল হয় তা জানতে অবশ্যই আগামীকালকের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। কেননা এক্ষেত্রে বিজেপি কতটা নিজেদের শক্ত করে রাস্তায় নামে সেটাই দেখার।

তবে তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ এখন থেকেই দাবি করছেন, আগামীকাল কোন বনধই হবে না। রাজ্যের সাধারণ মানুষ বিজেপির ডাকা বাংলা বনধ সমর্থন করবে না। অন্যদিকে ২০১১ সালের পর থেকে দেখা গিয়েছে, যেকোনো রাজনৈতিক দল অথবা সংগঠন বাংলায় বনধ ডাকুক না কেন, জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে সবসময় রাজ্য সরকার নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালায়। বেসরকারি যানবাহন চলাচলের ক্ষেত্রে বিঘ্ন ঘটলেও চাহিদা মেটাতে প্রচুর পরিমাণে সরকারি বাস নামানো হয়। এখন কি বাসের চালক ও কর্মীরা হেলমেট পরেও বাস চালাতে নামেন। এছাড়াও সরকারি কর্মচারীদের বনধের দিন অফিসে আসার ক্ষেত্রে আলাদা করে নির্দেশিকা জারি করা হয়। তবে এই বনধের প্রভাব দক্ষিণবঙ্গে কম পড়লেও উত্তরবঙ্গে তা জোরদার হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Advertisements