বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে সাংসদ হলেন বিজেপি ও এনডিএ-র ১২ জন। মঙ্গলবার এই ১২ জন সাংসদ হয়েছেন। যে ১২ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করে রাজ্যসভার (Rajya Sabha) সাংসদ হয়েছেন, তাদের মধ্যে আবার ৯ জন এনডিএ এবং শরিক রাজনৈতিক দলগুলির রয়েছেন ৩ জন। স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যসভায় ফের একবার শক্তি বাড়ালো বিজেপি ও তার শরিক সংগঠন এনডিএ।
এনডিএ শিবিরের বেশকিছু রাজ্যসভার সাংসদদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর রাজ্য সভায় রীতিমতো চাপে ছিল তারা। কেননা একসঙ্গে অনেক সাংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ায় তারা রাজ্যসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছিল। এমন সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারানোর ফলে কোন বিল পাস অথবা কোন সরকারি প্রস্তাবের ক্ষেত্রে চাপে পড়তে হচ্ছিল তাদের। তবে নতুন করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ফলে এই চিন্তা দূর হলো এনডিএ শিবিরের।
রাজ্যসভায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করা ১২ জনের মধ্যে ৯ জন এনডিএ শিবিরের হওয়ার ফলে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯৬ এবং এনডিএ শিবিরের সাংসদ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১২। বাকি যে তিনজন সাংসদ হয়েছেন তাদের মধ্যে অজিত পাওয়ারের এনসিপি গোষ্ঠীর একজন অন্যতম এবং আরেকজন অন্যতম হলেন রাষ্ট্রীয় লোক মঞ্চের।
আরও পড়ুন : Pension Scheme: পেনশন স্কিমে UPS না NPS কোনটি বেশি লাভজনক সরকারি কর্মীদের
অন্যদিকে রাজ্যসভায় মঙ্গলবার কংগ্রেসের একজনও জয়ী হননি। বর্তমানে রাজ্যসভায় বিরোধীদের মোট সাংসদ সংখ্যা রয়েছে ৮৫। রাজ্যসভায় ২৪৫ টি আসনের মধ্যে ১২ টি মনোনীত। বাকিগুলির ক্ষেত্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এক্ষেত্রে এখনো অনেক শূন্যপদ রয়েছে। যার মধ্যে জম্মু-কাশ্মীরের চার জন এবং মনোনীত চার জন। এবার চলুন দেখে নেওয়া যাক রাজ্যসভায় বিজেপি ও এনডিএ শিবিরের কারা কারা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়যুক্ত হয়ে সাংসদ হলেন।
বিজেপির সাংসদ হয়েছেন ত্রিপুরা থেকে রাজিব ভট্টাচার্য, রাজস্থান থেকে রণবিত সিং বিট্টু, মিশন রঞ্জন দাস, আসাম থেকে রামেশ্বর তেলি, বিহার থেকে মানান কুমার মিশ্র, হরিয়ানা থেকে কিরণ চৌধুরী, মধ্যপ্রদেশ থেকে জর্জ কুরিয়ান, মহারাষ্ট্র থেকে ধ্রিয়া শিল পাটিল, উড়িষ্যা থেকে মমতা মোহন্ত। অন্যদিকে এনসিপির অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীর নীতিন পালিত মহারাষ্ট্র থেকে সাংসদ হয়েছেন, বিহার থেকে আরএলএম-এর উপেন্দ্র খুশওয়া এবং তেলঙ্গানা থেকে সাংসদ হলেন অভিষেক মনু সিংভি।