Inflation Rate: সাধারণ মানুষের ভালো দিন আসতে চলেছে খুব শীঘ্রই। ফের কমতে চলেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। যদি এই পরিস্থিতি বজায় থাকে তাহলে পুজোর আগেই কমে যাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম। মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না সাধারণ মানুষকে। বিগত কয়েক বছর ধরে উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে জিনিসপত্রের দাম। মুদ্রাস্ফীতির হার বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেই গ্রাফ নিন্মমুখী হওয়ায় দেশের অর্থনীতি আরও মজবুত হবে এমনটাই আশা রাখছে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদরা।
কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Inflation Rate) সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে যে, চলতি বছরের জুলাইতে এই গ্রাফ নেমে গেছে ৩.৫৪ শতাংশে। অবশ্য এটি জুন মাসে ছিল ৫.০৮ শতাংশ। ২০২৩ সালের জুলাই মাসে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৭.৪৪ শতাংশ। খাদ্যদ্রব্যের মূল্য কমে যাওয়া হল ইনফ্লেশন-গ্রাফ নিম্নমুখী হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। বিগত পাঁচ বছর ধরে এই গ্রাফ নিম্নমুখী হয়নি, এই প্রথম ৪ শতাংশের নীচে নেমেছে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার। আরবিআই বহুদিন ধরে এই জায়গায় পৌঁছাতে চাইছিল। কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কটি বারবার খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার ২ থেকে ৪ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
জাতীয় পরিসংখ্যান থেকে আমরা জানতে পারি যে, জুলাইতে খাদ্যদ্রব্যের মুদ্রাস্ফীতির হার (Inflation Rate) দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৫.৪২ শতাংশ। জুন মাসে এই মুদ্রাস্ফীতির হার ছিল ৯.৩৬ শতাংশ। পাশাপাশি দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য এবং ফলের ক্ষেত্রে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার যথাক্রমে ২.৯৯ ও ৩.৮৪ শতাংশ। খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার কমে যাওয়াতে পড়ে গেছে মশলা ও ভোজ্য তেলের দাম। এই দুটি পণ্য ১.৪৩ ও ১.১৭ শতাংশ সস্তা হয়েছে। গত মাসে সবজির দাম বেড়েছিল প্রায় ৬.৮৩ শতাংশ। প্রায় ৮.১৪ শতাংশে গিয়ে ঠেকেছে শস্যজাত পণ্যের দাম। জ্বালানির ক্ষেত্রে মুদ্রাস্ফীতির হার কমেছে ৫.৪৮ শতাংশ।
আরো পড়ুন: মধ্যবিত্তদের জন্য সুখবর, এবার সবজি থেকে খাবারের দামে মিলবে স্বস্তি! মিলল ভালো খবর
কেন্দ্রীয় সরকার সোমবার আলাদা আলাদাভাবে দেশের গ্রামীণ ও শহর এলাকার জুলাইয়ের মুদ্রাস্ফীতির হারের (Inflation Rate) পরিসংখ্যান প্রকাশ্যে এনেছে। যা যথাক্রমে ৪.১ ও ২.৯৮ শতাংশ বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যগুলির মধ্যে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার দেখা গিয়েছে বিহারে (৫.৮৭ শতাংশ)। অন্যদিকে সর্বনিম্ন হার রয়েছে ঝাড়খণ্ডে (১.৭২ শতাংশ)।
অবশ্য বিশেষজ্ঞদের মধ্যে একাংশ মন্তব্য প্রকাশ করেছে যে, আগস্ট মাসে আবারো বেড়ে যাবে খুচরো মুদ্রাস্ফীতির হার (Inflation Rate)। এর পেছনের আসল কারণ হলো, ভারী বৃষ্টির জেরে দেশের বহু রাজ্যে বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। যা খারিফ শস্য উৎপাদনে প্রভাব ফেলবে এমনটাই মনে করছেন তারা । যার ফলে জিনিসপত্রের দাম আবারো বৃদ্ধি পাবে।