নিজস্ব প্রতিবেদন : মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সরগরম গোটা রাজ্য। মঙ্গলবার ছাত্র সমাজের নবান্ন অভিযান ঘিরে উত্তপ্ত ছিল তিলোত্তমা, আর সেই অভিযানে ছাত্র সমাজের উপর পুলিশী অত্যাচারের প্রতিবাদে বুধবার বিজেপির ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ (Bangla Bandh)। আর এসবের মধ্যেই এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাটকে তৈরি থাকতে বললেন।
মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানে নামা ছাত্র সমাজের আন্দোলন অরাজনৈতিক হলেও এর আষ্টেপৃষ্ঠে মদত ছিল বিজেপির। তাদের দাবি, আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী, পুলিশ মন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে ইস্তফা দিতে হবে। ওই অভিযানে ছাত্রদের ওপর লাঠিচার্জ, কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটানো, জল কামান দিয়ে আক্রমণের প্রতিবাদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে বুধবারের বাংলা বনধ।
বুধবার বিজেপির বাংলা বনধ সফল করতে নেমে যখন দিকে দিকে বিজেপি বিধায়ক থেকে শুরু করে নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার, আটক হচ্ছেন, সেই সময় শুভেন্দু অধিকারী রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন নবান্ন, লালবাজার ও কালীঘাটকে তৈরি থাকার। কেননা তিনি একসঙ্গে তিন জায়গায় অভিযান হবে বলে জানিয়েছেন। নন্দীগ্রামে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এমনটাই জানান তিনি।
শুভেন্দু অধিকারী এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছেন, “চারজন ছাত্রকে গতকাল গ্রেপ্তার করার প্রতিবাদে আবার আদালতে যাব। অ্যারেস্ট মেমো থেকে শুরু করে সবকিছু দেখাতে হবে।” এরপরেই তিনি একদিনে তিনটি অভিযানের কথা বলেন এবং প্রস্তুত থাকতে বলেন। কবে কোথায় সেই সকল অভিযান হবে তা সম্পর্কেও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে থাকে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন : Bangla Bandh: বিজেপির বনধের দিন রাস্তায় বেরিয়ে সমস্যা, মুক্তি পেতে ৬টি নম্বর দিল সরকার
শুভেন্দু অধিকারী জানান, “প্রস্তুত থাকুন একদিনে তিনটে অভিযান হবে। কারা করবে জেনে যাবেন। কবে করবে জেনে যাবেন। নবান্ন, লালবাজার, কালিঘাট।” এরপরই সাংবাদিকদের তরফ থেকে কোন ইস্যুতে এমন অভিযান করা হবে তা শুভেন্দু অধিকারীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি শুধু একটি উত্তর দেন, ‘দফা এক, দাবি এক, মমতার পদত্যাগ।’
'একদিনে ৩ জায়গায় অভিযান হবে'। নবান্ন, লালবাজার, কালীঘাট।@SuvenduWB pic.twitter.com/Ff9p996980
— BanglaXp Official (@BanglaXpBengali) August 28, 2024
বুধবারের বাংলা বনধ প্রসঙ্গে যা না বললেই নয় তাহল, রাজ্যের অধিকাংশ জায়গায় সবকিছু সচল রাখার জন্য একদিকে যেমন প্রশাসন উঠেপড়ে নেমেছে, ঠিক সেই রকমই আবার রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল দফায় দফায় মিছিল করে সবকিছু সচল রাখার আহ্বান জানাচ্ছে। অন্যদিকে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বনধের সমর্থনে নেমে লাইন দিয়ে গ্রেপ্তার অথবা আটক হচ্ছেন। এছাড়াও কিছু কিছু জায়গায় বনকে ঘিরে অশান্তির খবরও মিলেছে।