Online Delivery Partner: মাসিক কত টাকা উপার্জন করেন অনলাইন প্রোডাক্ট ডেলিভারি কর্মীরা, জানুন বিস্তারিত। বাংলায় একটা কথা আছে হাতের মুঠোয় দুনিয়া। বর্তমানে এই কথাটা ভীষণভাবে বাস্তবশ। এখন সত্যিই হাতের মুঠোতেই দুনিয়া। আপনার মুঠোফোনের মধ্যেই রয়েছে সবকিছু। অনলাইনে অর্ডার করে দিলেই হল। বাড়িতে এসে ডেলিভারি দিয়ে যাবেন ডেলিভারি কর্মীরা (Online Delivery Partner)। এখন আর কোন কিছু দোকানে গিয়ে কেনাকাটা করার প্রয়োজন পড়ে না। ঘরে বসে অনলাইনে অর্ডার করে দেওয়া যায় ৯৯% জিনিস। প্রতিনিয়ত অনলাইন শপিং-এর চাহিদাটা বেড়েই চলেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
অনলাইন শপিং-এর চাহিদা যত বাড়ছে ততো কর্মসংস্থানও বাড়ছে। এই মুহূর্তে অনলাইন প্রোডাক্ট ডেলিভারি করার জন্য নিযুক্ত রয়েছে একাধিক ছেলেমেয়ে। যারা প্রতিনিয়ত আপনার অর্ডার করা জিনিসটি আপনার বাড়িতে পৌঁছে দিয়ে সাহায্য করছে। অনলাইন শপিং-এর এই চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে রাতারাতি গজিয়ে উঠেছে একাধিক সংস্থা। যারা আপনাকে বা আমাদেরকে অনলাইন সার্ভিস প্রোভাইড করে থাকে। যেমন সুইগি, জোম্যাটো, ফ্লিপকার্ট, জেপ্টো, ব্লিংকিট ইত্যাদি। আমাদের অর্ডার করা প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে এই সংস্থাগুলি। উপার্জন করে কয়েক হাজার কোটি টাকা। কিন্তু যারা ডেলিভারি দিয়ে সহযোগিতা (Online Delivery Partner) করে তাদের উপার্জন কত? তাদের উপার্জনের বিষয়টি জেনে নেওয়া যাক।
ডেলিভারি কর্মীদের উপার্জন কত তা জানলে হয়ত অবাক হবেন। যেখানে একটি সংস্থা অনলাইন প্রোডাক্ট ডেলিভারি করার জন্য উপার্জন করছে বার্ষিক কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেখানে ডেলিভারি কর্মীদের (Online Delivery Partner) উপার্জন বার্ষিক আড়াই লক্ষ টাকার কম। সস্প্রতি একটি সমীক্ষা থেকে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এই তথ্য অনুযায়ী একজন ডেলিভারি কর্মীর দৈনিক আয় সাতশ টাকারও কম। সারা ভারত জুড়ে যত জন ডেলিভারি কর্মী কাজ করেন তাদের মধ্যে ৭৭.৬ শতাংশ কর্মীর অবস্থা একই রকম।
আরো পড়ুন: সস্তায় বাড়িতে বসে খাবার ডেলিভারি পাওয়ার দিন শেষ! এবার গুনতে হবে প্রচুর বাড়তি চার্জ
সারা দেশ জুড়ে অনলাইন সার্ভিস প্রোভাইডকারি সংস্থা রয়েছে একাধিক। সুইগি, জোম্যাটো, উবের, ফ্লিপকার্ট, অ্যামাজন, ব্লিংকিট ইত্যাদি। ভারতে প্রচলিত অনলাইন সার্ভিস প্রোভাইডকারি সংস্থাগুলির মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় এগুলি। এ ছাড়াও সারাদেশ জুড়ে আরো অনেক সংস্থা রয়েছে যারা অনলাইন প্রোডাক্ট ডেলিভারি করে। এই সমস্ত সংস্থাগুলিতে কর্মী হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে হাজারো ছেলেমেয়েকে। এরকমই কয়েকটি ছেলে মেয়ের উপর চালানো হয়েছিল সমীক্ষা ভারতের প্রায় ৪০ টি শহরের ডেলিভারি কর্মীদের (Online Delivery Partner) উপর করা সমীক্ষা থেকে জানা গেছে, এদের মধ্যে ৬৬ শতাংশ কর্মী জানেনই না আয়কর সীমাটা ঠিক কত। যারা জানেন বা যারা আইটিআর ফাইল করেছেন তাদের মধ্যেও বেশিরভাগ কর্মী জিরো রিটার্ন ফাইল করেছেন।
সমীক্ষা থেকে আরও জানা গেছে যে, ডেলিভারি কর্মীদের মধ্যে মাত্র ২৪ শতাংশ কর্মীর পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে। তারা সেই অ্যাকাউন্টে টাকা জমান। তবে সেই অর্থের পরিমাণও ১ থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে। ২৩ শতাংশ কর্মী মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করেন কিন্তু তার মধ্যেও বেশিরভাগ কর্মীর বিনিয়োগের পরিমাণ মাত্র ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে। আর ২৬ শতাংশ মানুষ হয়তো স্টক মার্কেটে বিনিয়োগ করেন। সেক্ষেত্রেও বিনিয়োগের পরিমাণ খুব একটা বেশি না। বাকি প্রায় ২৭ থেকে ৩০ শতাংশ মানুষ হয়তো জানেনইনা এইসব বিষয় সম্পর্কে। তাদের ক্ষেত্রে সঞ্চয়ের বিষয়টি কতটা কার্যকর তা প্রশ্ন সাপেক্ষ। যতজন ডেলিভারি কর্মী (Online Delivery Partner) কাজ করেন তাদের মধ্যে ৬২ শতাংশ কর্মীর জীবন বীমা নেই। অর্থাৎ অনলাইন সার্ভিসের মাধ্যমে সংস্থাগুলি যে পরিমাণ টাকা উপার্জন করছে, সেই তুলনায় ডেলিভারি কর্মীদের আয় একেবারেই সামান্য।