Indian Railways: দূরপাল্লার ট্রেনে যাত্রা করতে গেলে যাত্রীদের মাথায় প্রথমেই যে চিত্র ফুটে ওঠে তা হল অপরিচ্ছন্ন কেবিন, নিম্নমানের বিছানার চাদর, নোংরা কম্বল, টয়লেটে জলের অভাব। ট্রেনে যাত্রা করতে গেলে যাত্রীদের হাজারো অভিযোগ থাকে এইসব বিষয়। ভারতীয় রেলওয়ে যাত্রীদের এইসব সমস্যার সমাধানের জন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ করতে চলেছে। যাত্রীদের জন্য যে লিনেন পরিষেবা রয়েছে তা যাতে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকে তা নিশ্চিত করবে এআই অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে এই খবরই প্রকাশ্যে এসেছে।
যাত্রীদের এখন থেকে আর নোংরা লিনেন সমস্যা সম্মুখীন হতে হবে না, কারণ এই সমস্যার সমাধানে প্রয়োগ করা হচ্ছে এআই- ক্যামেরা ভিত্তিক প্রযুক্তি। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি এমন একটি মেশিনের উদ্বোধন করেছেন যার দ্বারা প্যাকিংয়ের আগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে দেখা যাবে লিলেনগুলোর ছেঁড়া, ফাটা কিংবা কোনোরকম দাগ। এছাড়াও ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে যে, প্রতিটি প্যাকেটে দুটি বিছানার চাদর, একটি বালিশের কভার, একটি হাতের তোয়ালে এবং একটি কম্বল আছে কিনা। ভারতীয় রেলওয়ের এই পদক্ষেপের জন্য প্রশংসা না করে পারা যায় না (Indian Railways)।
AI মেশিনটির প্রথম কাজ হবে, বেডশীটের বিশদ ছবি তোলা। পাশাপাশি মেশিনটি উচ্চ রেজোলিউশন ক্যামেরা ব্যবহার করে, নোংরা শনাক্তকরণে নির্ভুলতা নিশ্চিত করবে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে বিছানার চাদরগুলি ম্যানুয়ালি কনভেয়ার সিস্টেমে লোড করার পর শনাক্তকরণ প্রক্রিয়া শুরু হবে। মেশিনটি এই প্রক্রিয়া চলাকালীন সমস্ত ছবি তুলে নেবে। পরবর্তীকালে, ছবিগুলি রিয়েল-টাইম শনাক্তকরণ সফ্টওয়্যারে প্রসেস করা হয়।
আরো পড়ুন: দূরপাল্লার ট্রেনে এবার মিলবে আরও বেশি আরাম, বেডরোলে বদল আনছে ভারতীয় রেল
ভারতীয় রেলের (Indian Railways) কর্মকর্তারা দাবি করেছেন যে, এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিনটি ১০০% দাগ এবং ক্ষতি সনাক্ত করতে সক্ষম। এর জন্য এটি ব্যবহার করে উন্নত লার্নিং অ্যালগরিদম। সিস্টেম প্রতিটি বিছানার চাদরের দাগ এবং ক্ষতি রেকর্ড করে সেভ করে নিতে পারে।
গোটা দেশে ভারতীয় রেলের (Indian Railways) মোট ৪০টি যান্ত্রিক লন্ড্রি রয়েছে। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী বলেছিলেন যে, ভারতীয় রেলে সম্প্রতি ২ শতাংশ লিনেন নমুনা পরীক্ষা করা হয়। যা পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না তা ফেলে দেওয়া হয়। ভারতীয় রেলের প্রচেষ্টায় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই মেশিনের ব্যবহার বাড়ানোর চেষ্টা করা হবে। রেলের পক্ষ থেকে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তবে, আপাতত মধ্য রেলওয়ে এবং পশ্চিম রেলওয়ের লন্ড্রিতে এটি ব্যবহার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে।